শ্রীলঙ্কার কাছে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। পরবর্তী ৩ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজেও বাংলাদেশ হেরেছে ২-১ ব্যবধানে। এবার ৩ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজের শুরুতেই পরাজয়ের মুখ দেখতে হল লিটন দাসদের।
বৃহস্পতিবার পাল্লেকেলেতে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। টস জেতে শ্রীলঙ্কা। তারা বাংলাদেশকে শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায়। বাংলাদেশের ব্যাটাররা ডাকাবুকো ক্রিকেট উপহার দিতে ব্যর্থ হন। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ছাড়া আর কেউই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে পারেননি।
ইমন ২২ বলে ৩৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। মহম্মদ নইম ৩২ রান করলেও খরচ করেন ২৯টি বল। অপরাজিত ইনিংসে তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। মেহেদি হাসান মিরাজ ২৩ বলে ২৯ রান করেন। তিনি ৪টি চার মারেন।
এছাড়া তানজিদ হাসান ১৬, লিটন দাস ৬, তৌহিদ হৃদয় ১০ ও শামিম হোসেন অপরাজিত ১৪ রানের যোগদান রাখেন। বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩৭ রানে ২টি উইকেট নেন মাহিশ থিকশানা। ১টি করে উইকেট পকেটে পোরেন নুয়ান তুষারা, দাসুন শানাকা ও জেফ্রি বন্দরসে।
ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি কুশল মেন্ডিসের
পালটা ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ১৯ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ওপেন করতে নেমে দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি করেন উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিস। তিনি ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৫১ বলে ৭৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। অপর ওপেনার পাথুম নিশঙ্কা ১৬ বলে ৪২ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন। তিনিও ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। অর্থাৎ, দুই ওপেনারই শ্রীলঙ্কাকে জয়ের ভিতে বসিয়ে দেন।
এছাড়া কুশল পেরেরা ২৪, আবিষ্কা ফার্নান্ডো অপরাজিত ১১ ও চরিথ আসালঙ্কা অপরাজিত ৮ রান করেন। ৬ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন মহম্মদ সইফুদ্দিন, মেহেদি হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেন। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন কুশল মেন্ডিস।