নিজের দিন-প্রতিদিনের নানা খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত শেয়ার করে নেন অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তী। সেখান থেকেই তাঁর নতুন বাড়ি কেনার খবর আসছিল। দুই ভাই মা-বাবাকে নিয়ে এক ছাদের তলায় থাকতে চান। যার জন্য অনেকদিন ধরেই চলছিল জমি-বাড়ি দেখা। শেষমেশ অবশ্য জমি কিনে, বাড়ি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
তা কোথায় জমি কিনেছেন সায়ক? কত টাকা খরচ করেই বা কিনলেন জমি? নিজের অনুরাগীদের কাছ থেকে সেভাবে কিছুই রাখেন না গোপন। তা সে নতুন শাড়ি কেনা হোক, বা নতুন সোনার গয়না।
জমি কেনার খরচও সায়ক ভাগ করে নিলেন এক সংবাদমাধ্যমের কাছে। জানা গেল, বাইপাসের ধারে, পিয়ারলেস হাসপাতালের পাশে তিনি জমি কিনেছেন। সদ্য মায়ের নামে রেজিস্ট্রি করেছেন। তবে বাড়ির প্ল্যান আসতে লাগবে আরও মাস তিনেক। তারপরই বাড়ির কাদে হাত দেবেন।
তা কত খরচ পড়ল? সায়ক জানালেন জমি কিনতে খরচ পড়েছে ৭৫ লাখ টাকা। তবে যেহেতু এটি কোঅপারেটিভের জমি, তাই ৯৯৯ বছরের লিজে নিয়েছেন।
কদিন আগেই সায়ক চক্রবর্তীর দাদা সব্যসাচী ও অভিনেত্রী সুস্মিতা দে-র ডিভোর্সের খবর আসে। যদিও ডিভোর্সের কারণ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। সায়কও সোশ্যাল মিডিয়ায় বা সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে কথা বলা এড়িয়ে গিয়েছেন। সুস্মিতার সঙ্গে বন্ধুত্ব তাঁর অনেকদিনের। নিজেই করেছিলেন দাদার সঙ্গে ঘটকালি। সুস্মিতা-সায়কের বন্ধুত্বও বেশ পছন্দ করত নেটিজেনরা। কখনো ভাই-বোনের মতো ঝগড়া-খুনশুটি করত দেওর-বউদি, আবার কখনো বিপদে একে-অপরের ঢাল হয়ে দাঁড়াত। তাঁদের ফ্যামিলি ভ্লগ দেখতেও খুব পছন্দ করত সকলে। তাই সায়কের দাদা-বউদির ডিভোর্সের খবর দেখে রীতিমতো চোখ কপালে উঠেছিল নেট-নাগরিকদের।
এই নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের কাছে মুখ খুলে সায়ক বলেন, 'আমাদের জীবন এখন একটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তবে সেটাকে আমারা মেনে নিয়েছি। কারণ এটা ওঁদের মিউচুয়াল ডিসিশন। এতে ওঁরা ভালো থাকবে। এখানে তো আমার সত্যি কিছু আর বলার নেই। হ্যাঁ, তবে অবশ্যই ওঁকে মিস করব। কারণ আমি ভেবেছিলাম আমরা সবাই একসঙ্গে থাকব। কিন্তু সেটা হল না। তবে আমরা ৪ জন ভালো থাকব আমাদের মতো করে। আর আমি চাই সুস্মিতাও ওঁর মতো করে ভালো থাকুক।'