সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাত্কারে, অভিনেত্রী এবং জাতীয় ক্রাশ রশ্মিকা মান্দানা বলিউডের হার্টথ্রব রণবীর কাপুর অভিনীত ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্র অ্যানিম্যালের বিষয়ে কথা বলেছেন। রশ্মিকা দাবি করেছিলেন যে সিনেমাগুলি সিনেমা হিসাবে দেখা উচিত এবং যদি কেউ কোনও চলচ্চিত্র দ্বারা প্রভাবিত হন তবে তাঁদের সেই ধরণের বিষয়বস্তু দেখা উচিত যা দেখে অনুপ্রাণিত হওয়া যায়। অভিনেত্রী বলেছিলেন যে কেউ দর্শকদের একটি নির্দিষ্ট চলচ্চিত্র দেখতে বাধ্য করছে না। এর ফলে ইন্টারনেট দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে, কেউ কেউ রশ্মিকাকে সমর্থন করে এবং বাকিরা তাঁকে ট্রোল করে। তবে এই মুহূর্তে বাস্তব জীবনে আরকে-র মানে রণবীরের করা চরিত্রটির সঙ্গে প্রেম করবে কিনা সেই প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী কী বলেছেন সেটা নিয়ে নেটপাড়ায় ট্রোলের ঝড় বইছে।
সম্প্রতি মোজো স্টোরির সঙ্গে আলাপচারিতায় রণবীর কাপুরের করা চরিত্র রণবিজয় বলবীর সিং ওরফে বিজয়ের মতো কারও সঙ্গে প্রেম করবেন কিনা জানতে চাইলে রশ্মিকা মান্দানা বলেন, ‘আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে আপনি যদি কাউকে ভালোবাসেন তবে তাঁর মধ্যে পরিবর্তন আসবেই আপনাকে ভালোবেসে।’ দর্শক এবং সঞ্চালক যখন তাকে বলেছিলেন যে বাস্তব জীবনে কেউ বদলায় না, তখন রশ্মিকা উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমি এই কথাটি বলেছিলাম কারণ আপনি যখন আপনার অল্প বয়স থেকে কারও সাথে বড় হয়ে ওঠেন বা বহুদিন চেনেন, তখনও আপনার ব্যক্তিত্ব তৈরি হয়, আপনি তখনও খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন যে আপনি কী পছন্দ করেন এবং কী পছন্দ করেন না। এবং যখন আপনি একসাথে বড় হন, তখন আপনি জানেন, আপনার প্রিয় বন্ধু বা আপনার সঙ্গী কেমন, আপনি জানেন এক দশক আগে সে কেমন ছিল আর আজ যে কেমন।’
রেডিট থ্রেডের নিচে তাকে ট্রোল করে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী শেয়ার করেছেন, ‘এই মহিলার মুখ খোলা উচিত নয়। বোঝাই যাচ্ছে তার মাথা ফাঁকা। সে যত বেশি কথা বলে এবং কাজ করে আমি ততই তাকে অপছন্দ করি। এখন বুঝতে পারছি কেন তার নিজের রাজ্যের লোকেরা তাকে ঘৃণা করে,’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘রশ্মিকা বুদ্ধিমান হওয়ার ভান করে। কিন্তু তিনিই বোকার আসল সংজ্ঞা। তার মাথায় কিছুই নেই। সে যা জানে তাই বমি করে। বোকা হওয়ার জন্য আলিয়াকে এত ট্রোল করা হয়েছিল, কিন্তু রশ্মিকা কীভাবে যে ছাড় পায় বুঝি না। যখনই সে মুখ খোলে, তখনই ভুলভাল বকে। তার কোনও বিষয়ে জ্ঞান নেই।’ আরেকজন ট্রোল করে লেখেনন, ‘ও সত্যিই ভীষণ বোকা।’ রশ্মিকার চর্চিত বয়ফ্রেন্ড তথা অভিনেতা বিজয় দেবেরাকোন্ডাকে কটাক্ষ করে এক নেটিজেন দাবি করেন, ‘আমাদের জন্য ওর এবং ওর বিএফ-এর মুখ বন্ধ রাখা উচিত। এমনকি অ্যানিম্যাল রিটার্ডেড ফ্যানডমও এই এটাকে ডিফেন্ড করতে পারবে না,’
অন্য একজন লিখেছেন, ‘একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাকে এই কথা বলতে দেখে লজ্জা লাগে। এছাড়াও, তার এবং তার বিএফ ভিজেডির সত্যই মিডিয়া মিথস্ক্রিয়া বন্ধ করা উচিত যা অলিখিত কারণ যখনই তারা মুখ খোলেন, উভয়ই অত্যন্ত স্টুপিড শোনায়।’