হঠাৎ দেখলে মনে হবে যেন কোনও ভিখারী। কিন্তু কথা বললেই সেই ভুল ভাঙ্গে। রীতিমতো ইংরেজিতে উত্তর দিচ্ছেন তিনি। খুব স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে দেখতে স্থানীয়রা ভিড় জমান এলাকায়। তবে পরিচয় জানতে গিয়েই হতভম্ব হয়ে যান সকলে। স্টার জলসার এক নামী সিরিয়ালের এ কি অবস্থা!
সোমবার সকালে বর্ধমান আরামবাগ রোডের ধারে একটি বাসস্ট্যান্ডে এক মহিলাকে হেঁটে যেতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকায় হঠাৎ অপরিচিত মহিলাকে দেখে স্বাভাবিকভাবেই মনে প্রশ্ন জাগে সকলের। হঠাৎ বৃষ্টি আসায় ঐ মহিলা আমিলা বাসস্ট্যান্ডে আশ্রয় নেন, প্রাথমিক কথোপকথনেই বোঝা যায় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলা।
আরও পড়ুন: শ্যুটিংয়ের ফাঁকেই কেক কাটিং, দুই কৌশিকের উপস্থিতিতে জন্মদিন উদযাপন করলেন জয়া
আরও পড়ুন: গলায় পদ্মমালা, মাথায় মুকুট, দেবী লক্ষ্মীর বেশে বাসবদত্তা! কীসের শ্যুটিং সারলেন তিনি?
জরাজীর্ণ পোশাক, আলুথালু বেশে ওই মহিলাকে দেখে স্বাভাবিকভাবেই প্রথমে ভিক্ষুক বলে মনে করেন অনেকে। কিন্তু ওই মহিলা যখন ইংরেজিতে কথা বলা শুরু করেন তখনই ভুল ভাঙ্গে সকলের। পরিচয় জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, তাঁর নাম সৌমি ধর চৌধুরী। বাংলা ধারাবাহিকে অভিনয় করেন তিনি। প্রথমে ব্যাপারটা বিশ্বাসযোগ্য না হলেও হাতের মুঠোফোনের মাধ্যমে গুগল সার্চ করলেই বোঝা যায় ওই মহিলা যা বলছেন তা একেবারে সত্যি।
স্টার জলসার ‘তুমি আশে পাশে থাকলে’ ধারাবাহিকের রাঙা কাম্মার সঙ্গে হুবহু মিল এই মহিলার। কিন্তু কথাবার্তায় অসংলগ্নতা থাকার কারণে ধন্দে পড়ে যান স্থানীয়রা। বাড়ির ঠিকানা জানতে চাইলে একবার তিনি বলেন তিনি বেহালার বাসিন্দা, আবার কখনও বলেন তিনি বোলপুর থেকে আসছেন।
আরও পড়ুন: গায়ে লেপ্টে ভিজে শাড়ি, বৃষ্টিতে আগুন ধরালেন তন্বী! 'হট...', লিখলেন রাহুল
আরও পড়ুন: নতুন মেজাজে আসছে জি বাংলার 'সা রে গা মা পা'! কবে থেকে শুরু হবে সম্প্রচার?
অভিনেত্রী জানান, দীর্ঘদিন ধরেই নাকি তিনি বাড়ির বাইরে রয়েছেন। অভিনেত্রীর কাছে থাকা একটি নম্বরে ফোন করে জানা যায়, এক ড্রাইভার তাঁকে শেষ বোলপুরে ছেড়ে দিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু কেন হঠাৎ তিনি বোলপুরে গেলেন? বাড়িতে কে কে রয়েছেন? এই অবস্থা কীভাবে হল কিছুই বলতে চাননি তিনি।
অভিনেত্রীর এই অবস্থা দেখে তড়িঘড়ি পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন চ্যানেলে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করার পাশাপাশি মঞ্চে অভিনয় করেছেন তিনি। এত সুপরিচিত একজন অভিনেত্রীর এমন দশা দেখে খুব স্বাভাবিকভাবেই কলাকুশলীদের প্রতি ইন্ডাস্ট্রির অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।