রবিবার হায়দরাবাদের ফিল্মনগরে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দক্ষিণী অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস রাও। মৃত্যুকালে এই বর্ষিয়ান তেলুগু অভিনেতার বয়স ছিল ৮৩ বছর। নিঃসন্দেহে এই মৃত্যু ফ্লিম ইন্ডাস্ট্রির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে রইল।
দীর্ঘ চার দশকের কেরিয়ারে সব মিলিয়ে প্রায় ৭৫০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা। অভিনয়ের পাশাপাশি চুটিয়ে রাজনীতিও করেছেন তিনি। এককালে তিনি ছিলেন দাপুটে বিজেপি বিধায়ক। অভিনয়ের জন্য পদ্মশ্রী পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছিলেন এই অভিনেতা।
আরও পড়ুন: 'আমাদের দুজনেরই প্রথম...', নবাব কন্যার সঙ্গে অদেখা ছবি পোস্ট অপরাজিতার
আরও পড়ুন: 'আমায় মা হিসেবে বেছে...', ছেলের ১৮ তম জন্মদিনে অদেখা ছবি পোস্ট রবিনার
অভিনেতা প্রসঙ্গে
১৯৪২ সালের ১০ জুলাই অন্ধপ্রদেশের একটি ছোট্ট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এই অভিনেতা। বাবা ছিলেন স্পেশাল চিকিৎসক। ছোট থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বড় হলেও একসময় অজান্তেই অভিনেতা হওয়ার শখ তৈরি হয় তাঁর মনে। যদিও মঞ্চে অভিনয় করার পাশাপাশি স্টেট ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন তিনি।
১৯৭৮ সালে ‘প্রণাম খারিদু’ ছবির হাত ধরে বড় পর্দায় ডেবিউ করেন এই অভিনেতা। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে কখনও অভিনেতাকে দেখা গিয়েছে খল চরিত্রে অভিনয় করতে কখনও আবার কমেডি চরিত্রে অভিনয় করতে। তেলেগু ছবির পাশাপাশি তিনি অভিনয় করেছেন তামিল, হিন্দি, কন্নড় এবং মালায়ালাম ছবিতেও।
বলিউডে ‘সরকার’ ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে সিলভার মণি চরিত্রে অভিনয় করে এক প্রকার মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি। রবিবার অভিনেতা বিষ্ণু মাঞ্চু X হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে লেখেন, শ্রী কোটা শ্রীনিবাসকে হারিয়ে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তিনি এমন একজন মানুষ ছিলেন, যার উপস্থিতি প্রত্যেকটি ছবিতে প্রাণ সঞ্চার করত। এমন অভিনেতা খুব কমই দেখা যায়।
অভিনেতা আরও লেখেন, আমার সৌভাগ্য হয়েছিল ওঁর সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করার। ছোট থেকেই ওঁকে দেখে বড় হয়েছি আমি। ওঁর কাজ আমাকে সিনেমার প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তুলেছিল। আপনি শান্তিতে থাকুন। সারা জীবন আপনাকে স্মরণ করব।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি কিয়ারা, উপস্থিত গোটা পরিবার, শুভ সময় কি আসন্ন?
আরও পড়ুন: ৪ বছরেই রুটি বানিয়ে তাক লাগল ঈশান, গর্বিত নুসরত লিখলেন, ‘ছেলে মায়ের জন্য…’
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডুও অভিনেতার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে লেখেন, বিখ্যাত অভিনেতা কোটা শ্রীনিবাস রাওয়ের মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত। তিনি তাঁর বহুমুখী ভূমিকা দিয়ে সারা জীবন দর্শকদের ভালোবাসা অর্জন করেছেন। তাঁর মৃত্যু তেলেগু চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য এক অপুরনীয় ক্ষতি হয়ে থাকবে। ১৯৯৯ সালে তিনি বিজয়ওয়াড়া থেকে বিধায়ক হিসেবে জয়লাভ করেছিলেন। ওঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।