ফের আন্তর্জাতিক জনসীমালঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের আটক করল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে ৩৪ জন মৎস্যজীবীকে আটক করা হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ অঞ্চল থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়েন ওই ৩৪ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী। এর জেরেই তাঁদের আটক করেছে বাংলাদেশের নৌবাহিনী। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁদের ব্যবহৃত দু’টি ট্রলার ‘এফবি ঝড়’ ও ‘এফবি মঙ্গলচণ্ডী ৩৮’।
আরও পড়ুন: জলসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ, ১৬ ভারতীয় মৎসজীবীকে গ্রেফতার করল বাংলাদেশ
সূত্রের খবর, বাংলাদেশ উপকূলবর্তী মোংলা বন্দরের আশেপাশে ওই মৎস্যজীবীরা গভীর রাতে মাছ ধরছিলেন। সেই সময় টহলদারি চালানোর সময় সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে বাংলাদেশের নৌবাহিনী। তাঁদের ট্রলার দু’টি অনুসরণ করে ধরে ফেলে। এরপর ট্রলার-সহ ৩৪ জনকে মোংলা বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।
এই ঘটনার জেরে গভীর উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন ধৃতদের পরিবার। কাকদ্বীপ ও নামখানার মতো উপকূলবর্তী এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্কের ছায়া। এক মৎস্যজীবীর স্ত্রী বলেন, তাঁর স্বামীকে আটক করা হয়েছে শুনে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। ভালো আছে শুনেছেন, কিন্তু না ফিরলে উৎকণ্ঠা কাটছে না। ঘটনার পরপরই পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য দফতর তৎপর হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাঁদের মুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ফের প্রশ্ন উঠছে ভারতীয় ট্রলারগুলির জিপিএস ব্যবস্থার উপর। একইসঙ্গে, উপকূলরক্ষীদের নজরদারি ও মৎস্যজীবীদের সচেতনতা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা সতীনাথ পাত্র জানান, এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। আগেও ভারতের ট্রলার ভুলবশত বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। আবার বাংলাদেশেরও ট্রলার ভারতের জলসীমায় এসেছে। তবে বাংলাদেশ এতটা সক্রিয় আগে হয়নি। এখন থেকে মৎস্যজীবীদের এ বিষয়ে আরও সতর্ক করতে হবে।