কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মধ্যে প্রথম সারিতে যাদের নাম উঠে আসে তাদের মধ্যে একজন হলেন ঝিলম গুপ্ত। রোস্টেড ভিডিয়ো হোক অথবা কমেডি ভিডিয়ো, ঝিলমের অনবদ্য কথার কায়দা বারবার মুগ্ধ করে সকলকে। তবে এবার ঝিলম সোশ্যাল মিডিয়ায় যা পোস্ট করলেন, সেটা দেখে চোখের জল চলে এল নেটিজেনদের।
১১ জুলাই ঝিলম তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের কমেন্ট বক্স থেকে জনৈক এক মহিলার কমেন্টের স্ক্রিনশট তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আমার ইউটিউব চ্যানেলে এখনো ১ লাখ সাবস্ক্রাইবার হয়নি। কিন্তু ইউটিউব থেকে আজ পুরস্কার পেলাম। ঈশ্বরকে অনেক প্রণাম।’
আরও পড়ুন: সাদা শাড়ি, কপালে সিঁদুরের টিপ, তারাপীঠে পুজো দিলেন মনামী! কী ভোগ নিবেদন করলেন?
আরও পড়ুন: থালায় সাজানো খাবার,মেয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সস্ত্রীক রূপঙ্কর,বিবাহবার্ষিকী নাকি?
ঝিলম যে ছবিটি পোস্ট করেছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে এক মহিলা কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, ‘আসলে এম্প্যাথি এমন একটি জিনিস সবার আসে না আর জোর করে আনানোও যায় না। আমি মাস দশেক আগে আপনার একটা লাইভে হঠাৎ ঢুকে পড়েছিলাম। আপনি সবার কমেন্ট দেখতে দেখতে আমারটাও পড়লেন, আমি আপনাকে বলেছিলাম আমার সবই মিস ক্যারেজ হয়েছে, তারপর থেকে আর কোনদিন হাসতে পারছি না, যাই দেখি কান্না পায়, আমায় একটু হাসান না।’
ওই মহিলা আরও লেখেন, ‘আপনার আমার কমেন্টটা মনে আছে কিনা জানি না, আমার কিন্তু আপনার রিপ্লাইটা মনে আছে। হয়তো সেই জন্যই সুইসাইড করলাম না। আজ আমি দুই সন্তানের মা হতে চলেছি। জীবনে কিছু মুহূর্ত আসে যখন নিঃশ্বাস নিতেও ব্যাথা লাগে, মৃত্যুই শান্তির ঘুম মনে হয়, আপনাদের মত কিছু মানুষ নিজের ব্যস্ত সময় থেকেও কিছু এমন কথা বলে যায়, আবার বাঁচার ইচ্ছে হয়। থ্যাংক ইউ।’
আরও পড়ুন: ‘প্রজাপতি ২’ শ্যুটিংয়ের মাঝেও শুধুই ‘ধূমকেতু’, ‘গানে’-এ মজে দেব
আরও পড়ুন: কখনও ঝর্নার সামনে, কখনও নৌকায় শুয়ে, থাইল্যান্ডে একের পর এক ফটোশুট দেবচন্দ্রিমার
ঝিলমের এই কমেন্ট দেখে তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন সকলেই। সত্যিই অর্থ বা খ্যাতি নয়, একজন মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে আনাই হল অন্যতম সেরা পুরস্কার। কনটেন্ট তৈরি করে বা কথার বিনিময়ে যদি একটি মানুষেরও প্রাণ বাঁচে, তার থেকে আনন্দের আর কিছু হয় না।