ডিউক বলের হয়ে সাফাই গাইতে ঘুরিয়ে ভারতীয় বোলারদের দক্ষতা নিয়ে খোঁটা দিলেন জো রুট? এমনই প্রশ্ন উঠছে। কারণ যে বলের মান নিয়ে স্টুয়ার্ট ব্রড, নাসের হুসেনের মতো তাঁর দেশের প্রাক্তনীরাই প্রশ্ন তুলেছেন, সেটির হয়ে সাফাই ইংল্যান্ডের তরকা ব্যাটার বলেন, ‘যদি (ডিউক) বলের আকৃতি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে সেটিকে পালটে নিন। বিষয়টি নিয়ে বেশি হইচই করার কোনও দরকার নেই। আমার মনে হয় না যে তাতে পৃথিবী ভেঙে পড়বে। আমার মনে হয়, সেরকম ঘটনায় খেলার একটা আলাদা দিক তৈরি হয়। বলের সুইং বন্ধ হয়ে যাক বা সুইং চালু হয়ে যাক বা কিছুটা বেশি বল ঘুরতে থাকুক - সেইসব পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইতে নিয়ে আপনাকে সেরকম দক্ষ হতে হবে।’
৬৩ বলও টেকেনি দ্বিতীয় নয়া বল
আর রুট যখন সেই মন্তব্য করেছেন, তখন ডিউক বল নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। লর্ডসে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ভারত যে দ্বিতীয় নয়া বল পায়, তা ১০.৩ ওভারও টেকেনি। ৬৩ বল হতে না হতেই আকৃতি খারাপ হয়ে যায়। আর আম্পায়ারদের কাছে যে চাকতি থাকে, সেটা ভেদ করতে পারেনি। সেটার পরিবর্তে যে বল দেওয়া হয়, তার মান নিয়েও চূড়ান্ত উষ্মাপ্রকাশ করতে থাকেন।
আর সেটাই সম্ভবত স্বাভাবিক। কারণ পার্থক্যটা চোখে পড়ার মতো ছিল। আসলে যে দ্বিতীয় নয়া বল হিসেবে যেটি দেওয়া হয়েছিল, তার প্রথম ১৪টি ডেলিভারিতে তিনটি উইকেট তুলে নেন জসপ্রীত বুমরাহ। কিন্তু তারপর বাকি সেশনে কোনও উইকেট পায়নি ভারত।
আরও পড়ুন: ২১ বছরে এমন হয়নি- লর্ডসে জিততে সেই নজির গড়তে হবে ভারতকে, বিরাটকে ‘হারালেন’ গিল
আসল দ্বিতীয় নয়া বল যেখানে গড়ে ১.৮৬৯ ডিগ্রি ঘুরেছিল এবং ০.৫৭৯ ডিগ্রি সিম হয়েছিল, সেখানে পরিবর্ত বলের গড় সুইং মোটে ০.৮৫৫ ডিগ্রিতে ঠেকেছিল। আর গড়ে ০.৫৯৪ ডিগ্রি সিম হয়। বল যেভাবে নরম হয়ে যাচ্ছিল, তাতে ভারতীয় ক্রিকেটাররা চূড়ান্ত ক্ষোভপ্রকাশ করতে থাকেন। পরে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও বুমরাহ জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডে আগে কখনও দু'ঘণ্টার মধ্যে বল পরিবর্তন করার অভিজ্ঞতা হয়নি তাঁর।
আরও পড়ুন: ১৪.২ ওভারেই ২৪৪ রান তুলে জয়! T20I-তে তৈরি ইতিহাস, ভাঙল সর্বোচ্চ রানরেটের রেকর্ড
১০ ওভারও টিকছে না ডিউক বল, বিরক্ত ব্রড
আর রুটের প্রাক্তন সতীর্থ তথা ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা পেসার স্টুয়ার্ড ব্রড সরাসরি ডিউক বল নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি দাবি করেন, দুর্দান্ত উইকেটকিপারের মতো হওয়া উচিত বলের। কালেভদ্রে তা চোখে পড়বে। কিন্তু এখন বল নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। প্রায় প্রতিটি ইনিংসেই বল পালটাতে হচ্ছে। একটা বল ৮০ ওভার টিকবে, ১০ ওভার নয়। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, ২০২০ সাল থেকেই ডিউক বল নিয়ে সমস্যা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লর্ডসে ৫ উইকেট নিয়ে কপিলের ২ রেকর্ড ভাঙলেন বুমরাহ, গড়লেন আরও ৩ নজির, কী কী?
গরম বেশি, সাফাই ইংরেজ তারকা রুটের
যদিও রুটের দাবি, সূর্যের এত প্রখরতা, এত গরমের সঙ্গে ইংল্যান্ড অভ্যস্ত নয়। তাই হয়তো বলের এরকম হাল হতে পারে। তাঁর কথায়, ‘কীভাবে (ডিউক বল) তৈরি করা হয়, তার পুরোটা আমি জানি না। কিন্তু আমি এটা জানি যে হাত দিয়ে তৈরি করা হল (ডিউক বল)। তাই কখনওই দুটি বল পুরোপুরি একরকম হবে না। (আর) আমার মনে হয়, এবার গরমকালটা আমাদের জন্য একটু অস্বাভাবিক।’