ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লর্ডসে চলতি তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বল বদল নিয়ে চলা বিতর্কের মাঝেও ভারতীয় পেসার জসপ্রীত বুমরাহ নিজের সংযম বজায় রাখেন। বল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করতে চাননি তিনি। হয়তো ম্যাচ ফি কাটা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকার জন্যই তিনি সরাসরি কিছু বললেননি। দিনের শুরুতেই, মাত্র ১০ ওভারের মধ্যে ভারত ডিউকস বল নিয়ে অভিযোগ জানায়। আম্পায়ার সেটি হুপের মধ্য দিয়ে ফেলতে চেষ্টা করেন, কিন্তু বলটি আটকে যায়। এরপর ভারত অধিনায়ক শুভমন গিলকে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়াতে দেখা যায়।
ড্রিঙ্কস ব্রেকেও গিলকে ক্ষুব্ধ দেখা যায় এবং তিনি আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে ৪৮ বল পর আবার বল বিকৃত হয়ে পড়ে এবং আবার বল বদল করতে হয়। শেষ সেশনে ইংল্যান্ডও বল বদলের অনুরোধ করে, কিন্তু তখন বলটি হুপ টেস্টে পাশ করে যায়, ফলে সেটি নিয়ে খেলা চালিয়ে যেতে হয়। বল বারবার বদল নিয়ে সমর্থক এবং প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা যায়। বুমরাহকে যখন এই বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখন তিনি নিরপেক্ষ থাকেন এবং বলেন, এটা তাঁদের নিয়ন্ত্রণে নেই।
প্রেস কনফারেন্সে জসপ্রীত বুমরাহ বলেন, ‘বল বদল হয়, সেটা আমার হাতে নেই। আমি স্পষ্ট বলি, আমি কঠোর পরিশ্রম করি, অনেক ওভার বল করি, তাই আমি এমন কিছু বলতে চাই না যাতে আমার ম্যাচ ফি কাটা যায়। আমাদের যা বল দেওয়া হয়েছে, আমরা তা নিয়ে বল করেছি। এটা এমনই — বদল হয়, ভালো বলও পাওয়া যায়, খারাপ বলও। আমরা এটা পাল্টাতে পারি না, এর বিরুদ্ধে লড়তেও পারি না।’
বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসার হিসেবে বিবেচিত বুমরাহ এই দিন ৫/৭৪ জ্বলে ওঠেন লন্ডনের গরমে। হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস ও জো রুটকে ফিরিয়ে ভারতের দিকে ম্যাচের পাল্লা টেনে আনেন তিনি। প্রথম দিন, তরুণ নীতীশ কুমার রেড্ডি বুমরাহকে ঘিরে বলেন যে তাঁরা তাঁর কথাই অনুসরণ করেন। উত্তরে হেসে বুমরাহ বলেন, ‘ওটা মিথ্যে কথা!’ তিনি বলেন, তিনি শুধু তরুণদের যা সাহায্য করতে পারেন তা করেন।
নীতীশের মন্তব্য নিয়ে বুমরাহ বলেন, ‘স্যার, প্রথমত, ওর কথা মিথ্যে। ও আমার কাছে কিছু জিজ্ঞেসই করেনি। তবে এটাও ঠিক যে এই ছেলেরা খুব আত্মবিশ্বাসী। এদের খুব বেশি গাইডেন্স বা তথ্যের প্রয়োজন নেই। যখন এবং যা কিছু প্রয়োজন হয়, আমি তাদের সাহায্য করার জন্য থাকি। আমি শুধু নিজের অভিজ্ঞতা, আগের ট্যুরে শিখে আসা জিনিসগুলো ভাগ করে নিই।’
বুমরাহ আরও বলেন, ‘আমি জোর করে সকলেরর মাঝে ঢুকে পড়ি না, অতিরিক্ত পরামর্শ দিই না, বা বলি না যে আমার মতো করেই করতে হবে। কারণ আমার টেকনিক আলাদা, আমার বল করার পদ্ধতি আলাদা, আমার পরিস্থিতি সামলানোর কৌশল আলাদা। ওদেরও তাই নিজস্ব পদ্ধতিতে করতে হবে। তবে যদি কিছু জানতে চায় বা সাহায্য চায়, আমি আমার সাধ্যমতো সাহায্য করি।’