শুক্রবারই উইম্বলডন থেকে ছিটকে গেছেন সার্বিয়ান টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচ। ইতালির জ্যানিস সিনারের কাছে একেবারে স্ট্রেট সেটে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে তাঁকে। সেমিফাইনালে সিনার এই ম্যাচ পকেটে পুড়ে নেয় ৬-৩, ৬-৩, ৬-৪ ফলে। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে জোকারের একটা চোট লেগেছিল, এরপর সেমিফাইনালে জকোভিচের খেলাতেও সেই চোটের প্রভাব পড়ে। খুবই ধীর গতিতে খেলতে দেখা যায় তাঁকে।
বেশ কয়েকটি রিপোর্টেই দাবি করা হয়েছে,যে এই মরশুমটাই হয়ত জকোভিচের কেরিয়ারের শেষ বছর হতে চলেছে, পেশাদার টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে। কারণ ইতিমধ্যেই তাঁর বয়স ছুঁয়েছে ৩৮-র গণ্ডি। ফেডেরার, নাদাল যুগের একমাত্র তারকা হিসেবে জোকারই এখনও খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এবার নিজের অবসর পরিকল্পনা নিয়েই মুখ খুললেন সার্বিয়ান সুপারস্টার। জানিয়ে দিলেন, এটা হয়ত তাঁর শেষ মরশুম নয়। জকোভিচকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আজকের হারের জন্য হতাশ। তবে এটা হয়ত আমার শেষ ম্যাচ নয় সেন্টার কোর্টে। আমি এখনই উইম্বলডন কেরিয়ারে সমাপ্তি ঘোষণার কথা ভাবছি না। অন্ততপক্ষে একবার আমি সেন্টার কোর্টে খেলতে চাই ’।
জোকার স্বীকারও করে নেন, যে বয়সের কারণেই তাঁর পারফরমেন্স হ্রাস পাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বয়সজনিত কারণে শরীরে অনেক সমস্যাই হয়। যতটা পারছি নিজের শরীরের খেয়াল রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু বাস্তবটা আমিও বুঝতে পারছি। শেষ এক বা দেড় বছর ধরে আমি আর আগের মতো পারফরমেন্স দিতে পারছি না, এটা মেনে নিতেই হবে। অবশ্য মেনে নেওয়াটা কঠিন, কারণ যখনই আমি ফিট থাকছি, ফ্রেশ থাকছি তখন আমি ভালোই খেলছি। সেটা এবছরও প্রমাণিত হয়েছে। শারীরিকভাবে আমার জন্য পাঁচ সেটের লড়াইয়ে নামা কঠিন হয়ে গেছে। প্রতিযোগিতা যতই দীর্ঘ হতে থাকে, আমার পরিস্থিতিও খারাপ হতে থাকে। আমি মোটামুটি ফাইনাল স্টেজে এবারে প্রত্যকটা গ্র্যান্ডস্লামেই গেছি। কিন্তু আমায় সিনার বা আলকারাজের বিরুদ্ধে খেলতে হচ্ছে। আর ওরা এখন অনেক তরুণ, তীক্ষ্ণ। আমার তো মনে হচ্ছে, আমি ম্যাচে খেলতে নামছি আধা শক্ত নিয়ে। এই অবস্থায় ম্যাচ জেতা তাই সম্ভব নয় ’।
নিজের চোট নিয়ে জোকারকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি জানি না, নতুন কি করতে পারি, নিজেকে চোটমুক্ত রাখার জন্য। তবে এখনও আমি ঘন্টার পর ঘন্টা নিজেকে সময় দি চোটমুক্ত রাখার জন্য। এখনও আমি সবাইকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারিনি, দেখার জন্য যে কেউ আমার থেকে বেশি ফিট কিনা। কিন্তু এই মূহূর্তে দুর্ভাগ্যবশত আমি আমার পরিশ্রমের সঠিক ফল পাচ্ছি না। গ্র্যান্ডস্লামের শেষদিকে এসে চোট পাচ্ছি। তবে এভাবেই আমি নিজের খেয়াল রেখে এত বছর সাফল্য পেয়েছি। শারীরিক কারণেই আমার খেলায় প্রভাব পড়ছে। তুমি খেলতে চাইলেও অনেক সময় শরীর খেলতে দিচ্ছে না। এটাই বাস্তব ’।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।