নিট ইস্যুতে সংসদে বিতর্ক চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। বুধবার নিট ইস্যুতে বিতর্কে সামিল হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা। প্রসঙ্গত, লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর এটিই প্রধানমন্ত্রীকে লেখা রাহুলের প্রথম চিঠি। চিঠিতে রাহুল উল্লেখ করেছেন, পড়ুয়ারা উত্তর চাইছেন। এ নিয়ে সংসদীয় বিতর্ক হলে সেটি হবে তাঁদের বিশ্বাস পুনর্গঠন ও পুনরুদ্ধারের দিকে প্রথম পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: সব হিন্দুকে সত্যিই ‘হিংস্র’ বলেন রাহুল? কেন হইচই BJP-র? আগেও একই বিষয়ে ফেঁসেছেন!
এর আগের দিনই নিট পরিচালনায় অনিয়মের অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকারকে সংসদের অধিবেশনে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন রাহুল। এদিন চিঠিতে রাহুল লিখেছেন, ‘আমি নিট নিয়ে সংসদে বিতর্কের জন্য অনুরোধ করছি। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) জানেন যে গত ২৮ জুন সংসদের উভয়কক্ষে এ বিষয়ে বিতর্কের জন্য বিরোধীদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। গতকালও বিরোধীরা এ বিষয়ে আলোচনার জন্য অনুরোধ করেছিল। লোকসভার মাননীয় অধ্যক্ষ বিরোধীদের আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তিনি বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন।’
চিঠিতে নিট পরীক্ষার্থীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাহুল। তিনি গোটা দেশে প্রায় ২৪ লক্ষ নিট প্রার্থীদের কল্যাণে সমাধান খুঁজে বের করার জন্য গঠনমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিতে চেয়েছেন। বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, ‘লক্ষ-লক্ষ পরিবার তাদের সন্তানদের কল্যাণের জন্য অনেক ব্যক্তিগত ত্যাগ স্বীকার করেছে। অনেকের কাছে প্রশ্ন ফাঁস আজীবন স্বপ্নের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার মতো। আজ এই পড়ুয়ারা এবং তাদের পরিবারগুলি আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে যাতে আমরা তাদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে সাহসী এবং সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে পারি। সমস্যাটির সমাধান করুন। নিট নিয়ে অবিলম্বে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন। কারণ এই ঘটনা আমাদের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থার খারাপ দিককে তুলে ধরেছে।’
প্রসঙ্গত, নিট বিতর্কের পরেই কেন্দ্র সরকার সম্প্রতি ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির ডিজি সুবোধ সিংকে সরিয়ে দিয়েছে। সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করার জন্য ইসরোর প্রাক্তন প্রধান আর রাধাকৃষ্ণনের সভাপতিত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্যানেল গঠন করেছে। এপ্রসঙ্গে, প্রশ্ন ফাঁসের পরিসংখ্যান তুলে ধরে রাহুল আরও বলেছেন, যে গত সাত বছরে ৭০ টিরও বেশি প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। এতে ২ কোটিরও বেশি পড়ুয়া প্রভাবিত হয়েছে। পরীক্ষা স্থগিত করা এবং ডিজিকে সরিয়ে সরকার ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির পদ্ধতিগত ভাঙন ঢাকতে চাইছে।