শেষবারের মতো মাকে ফোন করে জানিয়েছিলেন, রাতে বাড়িতে খেতে আসবেন। কিন্তু সারা রাত কেটে গেলেও বাড়ি ফেরেননি নভি মুম্বাইয়ের জেজে হাসপাতালের চিকিৎসক ওমকার ভগবান কাভিটকে(৩২)।জানা গিয়েছে, হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মুম্বই ট্রান্স হারবার লিঙ্কে গাড়ি রেখে সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়েছেন তিনি।কিন্তু টানা দু’দিন ধরে পুলিশ এবং উপকূলরক্ষী বাহিনী খোঁজাখুঁজি করেও এখনও পর্যন্ত ওই চিকিৎসকের হদিশ মেলেনি। আর এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাণিজ্য নগরীতে।
আরও পড়ুন-বিহারে নাটকীয় কাণ্ড! কাকিমার প্রেমে মত্ত ভাইপো, তারপর যা হল....
জানা গিয়েছে, ডঃ ওমকার ভগবান কাভিটকে নবি মুম্বাইয়ের কালামবোলির বাসিন্দা। তিনি জেজে হাসপাতালের একজন মেডিকেল অফিসার। প্রায় ছয় বছর ধরে কাজ করছিলেন ওমকার। পুলিশ সূত্রে, গত ৭ জুলাই নিজের গাড়ি করে বাড়ি ফেরার জন্য হাসপাতাল থেকে বার হন তিনি। হাসপাতাল থেকে বার হওয়ার আগে ওমকার তাঁর মাকে ফোন করে জানান, তিনি রাতে বাড়ি ফিরবেন এবং খাবেন। এরপর রাত পৌনে ১০ টা নাগাদ কন্ট্রোল রুমে খবর আসে এক ব্যক্তি মুম্বই ট্রান্স হারবার লিঙ্ক থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশ। তারা দেখে সেতুর উপর একটি খালি গাড়ি দাঁড় করানো আছে এবং গাড়ির মধ্যে একটি আইফোন রয়েছে। গাড়ির নম্বর এবং সম্প্রতি ডায়াল করা নম্বরগুলিতে যোগাযোগ করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে গাড়িটি ডঃ কাভিটকের। সেতুর সিসিটিভি ফুটেজও তার প্রমাণ মেলে।
আরও পড়ুন-বিহারে নাটকীয় কাণ্ড! কাকিমার প্রেমে মত্ত ভাইপো, তারপর যা হল....
তারপর থেকেই পুলিশ এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যেরা তন্নতন্ন খুঁজছে ওই চিকিৎসককে।উদ্ধারকারী দল, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা এবং মেরিন সিকিউরিটি বিভাগের 'ধ্রুবতারা' নৌকা-সহ একাধিক সংস্থা সেই এলাকাটি তল্লাশি করছে যেখানে চিকিৎসক লাফ দিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তির কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি।ঘটনার আগে কী কী হয়েছিল তা তদন্তের চেষ্টা চলছে। তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ চিকিৎসকের পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব ও হাসপাতালের সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছে। উলওয়ে থানার সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর অর্জুন রাজনে বলেছেন, 'চিকিৎসক অবিবাহিত ছিলেন এবং পানভেলে থাকতেন। এই চরম পদক্ষেপের কারণ এখনও জানা যায়নি। তিনি কোনও চিরকুট রেখে যাননি। আমরা অটল সেতুর কন্ট্রোল রুম থেকে ফুটেজ যাচাই করেছি।' পাশাপাশি এর নেপথ্যে অন্য কোনও গোপন কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।