বিহারে নাটকীয়-কাণ্ড। কাকার অবর্তমানে কাকিমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ক্রমশ বাড়ছিল। দিনরাত খুনসুটি থেকে প্রেম। গোপনে সবই চলছিল দেদার।কিন্তু তার মাঝেই ঘটে গেল বিপত্তি। পাড়ায় জানাজানি হতেই প্রেম পরিণত হল কার্যত অভিশাপে। ভাইপোকে বেধড়ক মারধর করে, কাকিমার সঙ্গেই বিয়ে দিয়ে দিলেন ক্ষিপ্ত কাকা। অন্যদিকে, এই ঘটনায় যাঁরা যুবককে মারধর করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সুপাউল জেলার জীবচ্ছাপুরে।অভিযোগ, গত ২ জুলাই মিথিলেশ কুমার মুখিয়া (২৪) নামের এক যুবককে অপহরণ করে তাঁর কাকা শিভচন্দ্র মুখিয়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। শিবচন্দ্রের স্ত্রী রীতা দেবীর সঙ্গে মিথিলেশ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ঘিরেই অশান্তি শুরু হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথিলেশকে বেধড়ক মারধর করেন ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা। এরপর সেই বাড়িতেই টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আসা হয় রীতাকে। প্রেমের সম্পর্কটি কাকিমা ও ভাইপো দু'জনেই স্বীকার করে নেন। সেদিনই কাকিমার সঙ্গে মিথিলেশকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। কাকার সামনেই রীতার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন যুবক। যুবককে লাঠিপেটা করা এবং কাকিমাকে সিঁদুরদানের ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন-২৫ বছর পর সাফল্য! আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্তের প্রত্যর্পণ, মণিকা কাপুর কে?
ঘটনাটি এখানেই শেষ হয়নি। খবর পেয়েই মিথিলেশকে বাঁচাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন তাঁর বাবা ও মা।অভিযোগ, তাঁদেরকেও ব্যাপক মারধর করেন ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা।এরপরেই মিথিলেশের বাবা রামচন্দ্র মুখিয়া ভীমপুর থানায় গিয়ে ভাই শিবচন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে, মিথিলেশকে অপহরণ করে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। মিথিলেশের বাবা জানিয়েছেন, লাঠি দিয়ে তরুণকে একাধিকবার আঘাত করা হয়েছিল। কাকিমার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিষয়টি গ্রামে রটিয়ে দিয়েছিলেন এক প্রতিবেশী। মারধরের জেরে মাথায়, কাঁধে এবং হাতে গুরুতর চোট পান তিনি। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন-২৫ বছর পর সাফল্য! আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্তের প্রত্যর্পণ, মণিকা কাপুর কে?
এদিকে, এই ঘটনায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে স্থানীয় থানায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। জানা গিয়েছে, মিথিলেশের কাকা শিবচন্দ্র এবং কাকিমা রিতার চার বছরের একটি সন্তান রয়েছে।ভীমপুর স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) মিথলেশ পান্ডে বলেন, একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।তিনি আরও বলেন, মিথলেশকে প্রথমে নরপতগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে আরারিয়া সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।