ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছিল হাঁটার ক্ষমতা। পিঠের উপর একটি ছোট্ট পুঁজের ঘা বড় আকার নিচ্ছিল দিনদিন। স্বাভাবিকভাবেই শিশুকন্যাটির বাবা-মা পুরো পরিস্থিতি দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সিএমআরআই হাসপাতালে দেখানোর পর জানা যায়, শিশুটির একটি বিরল মেরুদণ্ডের সমস্যা রয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় তাকে বলা হয় লিমিটেড ডরসাল মাইএলোসাইসিস (Limited Dorsal Myeloschisis বা LDM)।
আরও পড়ুন - স্বপ্নে ভূত দেখার অর্থ কি সবসময় অশুভ হয়? অবাক করার মতো কথা বলছে স্বপ্নশাস্ত্র
কোন বিরল রোগে আক্রান্ত ছিল শিশু?
কী এই রোগ? কনসালটেন্ট নিউরোসার্জন রথীজিৎ মিত্র জানান, ‘এই রোগে একটি অস্বাভাবিক পথ তৈরি হয় যাতে ত্বক সরাসরি তাঁর মেরুদণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। আরও খারাপ ব্যাপার বিষয় এই যে, পথটির শেষে একটি টিউমারের মতো পিণ্ড থাকে, যার ফলে শিশুটির পায়ে দুর্বলতা তৈরি হয়েছিল।’ ডাক্তারের কথায়, ‘এটি কেবল সংক্রমণ ছিল না – মেরুদণ্ডের একটি বিরল ত্রুটি ছিল যার জন্য জরুরি এবং সতর্ক অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল। এই ধরনের সিস্টকে বিনাইন এপিডারময়েড সিস্ট (benign epidermoid cyst) বলা হয়। চিকিৎসা না করা হলে মেরুদণ্ডটির স্থায়ী ক্ষতি হতে পারত। যার ফলে শিশুটি হাঁটার শক্তি হারিয়ে ফেলত। মল-মূত্রের নিয়ন্ত্রণও হারিয়ে যেত।’
আরও পড়ুন - বাড়িতে রাখা টাকা নিরাপদে রাখতে চান? এই বাস্তুদোষগুলো কাটিয়ে ফেলতে হবে দ্রুত
১০ দিনের মধ্যে সুস্থ
অস্ত্রোপচারের অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে এবং হাঁটতে শুরু করে শিশুটি। খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। ১০ দিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরেও সে খুব দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।