সোহেল দত্ত এবং তিয়াসা লেপচার প্রেম নিয়ে টলিপাড়ায় আলোচনার শেষ নেই। একে অপরের প্রেমে পড়লেও প্রথম দিকে তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কেউই। তারপর আবার তাঁদের সম্পর্কের একসময় চিড়ও ধরেছিল। তবে সব ভুল বোঝাবুঝি এখন অতীত। খুল্লামখুল্লা প্রেম করছেন তাঁরা। তবে এই সব কিছুর মাঝেই তিয়াসা জানালেন সোহেল নয় বরং তিয়াসার জীবনে শান্তির আসল কারণ অন্য কেউ। কে সে জানেন?
‘শ্যামা’ হয়ে 'কৃষ্ণকলি' ধারাবাহিকের হাত ধরে ছোটপর্দায় পা রাখেন তিয়াসা। অভিনেত্রীকে বিনোদন জগতে আসার ক্ষেত্রে তাঁর প্রাক্তন স্বামী সুবান রায় তাঁকে সাহায্য করেছিলেন। তিয়াসাও অবশ্য সেই কথা বারবারই স্বীকার করেন। নায়িকা ভালোবেসে সুবানের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন। বিনোদন জগতেও অভিনেত্রী পা রাখেন বিয়ের পড়েই। কিন্তু তারপর নানা কারণে সুবানের সঙ্গে ডিভোর্স হয় তিয়াসার। আর তারপর থেকেই নানা কটাক্ষ ধেয়ে আসে নায়িকার দিকে। অনেকে দাবি করেন, সাফল্য পেয়ে স্বামীকে নাকি ছেড়ে দিয়েছেন তিনি! অবশ্য এই প্রসঙ্গে বেশ কড়া জবাব দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: দেবচন্দ্রিমা-অর্জুনের নতুন শুরু! ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল নেটপাড়ায়
তারপর তিয়াসার সঙ্গে নাম জড়ায় ছোটপর্দার পরিচিত মুখ সোহেল দত্তর। সোহেল বা তিয়াশা কেউই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে প্রথম দিকে সরাসরি কথা না বললেও তাঁদের নানা ছবি থেকে তাঁদের সম্পর্কের ইঙ্গিত বেশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তবে মাঝে তাঁদের মধ্যে নানা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। এতে তাঁদের সম্পর্কও বেশ খারাপ হয়। পড়ে অবশ্য পুরোটা মিটমাট হয়ে। তারপর তাঁদের প্রেম নিয়ে অকপট থেকেছেন নায়িকা। তবে এই সব কিছুর মধ্যেই অভিনেত্রী দিলেন তাঁর শান্তিতে থাকার কারণের খোঁজ।
তিয়াসার জীবনে আছে এমন বিশেষ কেউ যে আসলে নায়িকার ভালো থাকার চাবি কাঠি, তাঁর শান্তির ঠিকানা। তিনি কিন্তু সোহেল নন, জানেন সে কে? সে হল তিয়াসার পোষ্য সারমেয়, তোজো।
আরও পড়ুন: 'কাঞ্চন সারাদিন বসে আদর খায়…', কৃষভির জন্মের পর তাঁদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে অকপট শ্রীময়ী
তোজো নিয়ে তিয়াশার অনেকটা সময় কাটিয়ে দেন। তিয়াসার উত্তাল সময় তোজো তাঁর জীবনে আসে। নায়িকার জীবনে অনেক ভালো পরিবর্তন আনে সে। তাই তার সঙ্গে এদিন সমাজমাধ্যমে একটি ছবি স্টোরিতে শেয়ার করেন তিয়াসা। ছবিতে দেখা যায় বিছানায় শুয়ে আছেন নায়িকা। তাঁর পাশে শুয়ে তাঁর পোষ্য। ছবিটি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘তুমি সে যে, আমার জীবনের শান্তির কারণ, আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি আমার পুকু।’