২০২৪ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টোরাজ। সেই বছরই বাবা মা হন তাঁরা। এটা কাঞ্চনের তৃতীয় বিয়ে, তাছাড়াও কাঞ্চনের থেকে শ্রীময়ীর বয়সের ফারাক অনেকটাই। তাই তাঁদের বিয়ে নিয়ে তাঁদের নানা কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল। তবে সে সব কখনওই খুব একটা পাত্তা দেননি তাঁরা। বরাবরই খুল্লামখুল্লা প্রেম করেছেন তাঁরা। আর এবার শ্রীময়ী বললেন, 'কাঞ্চন যদি সারা দিন আদর খায় তাহলে কাজ হবে না।'
আরও পড়ুন: ‘আমার জীবনের প্রথম…', হাতের কব্জিতে কার নামে ট্যাটু করালেন হানি সিং?
অ্যাডিসনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডেট যাওয়া প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রথমে শ্রীময়ী বলেন, ‘ আগে কোনও দিন কাঞ্চন আমাকে ডেটে নিয়ে যায় নি। আসলে আমরা এত ডেট বা এইসব বুঝতাম না। ওই একটু চিঠি লিখে দিতাম। আর সারাদিনের পর রাতে একটা ম্যাসেজ থাকত, ভালো আছিস? বা খেয়েছিস? এটাতেই আমার গায়ে কাঁটা দিত। তবে এখন বরং আমরা একটু বেশি ডেটে যাই। কৃষভি এখন যেতে পারছে না। মিস করি…।’
শ্রীময়ীর কথা শেষ না করতে দিয়েই কাঞ্চন বলেন, ‘না কেন? আমাদের সঙ্গে ডেটে গেল তো।’ তখন বরকে শুধরে দিয়ে নায়িকা বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ঘুরতে গেল। সেকেন্ডবার আবার হানিমুন করলাম। আর এখন কৃষভিকে পেয়ে যেটা হয়েছে আনলিমিটেড আদর করতে পারি। আমার জীবনে আদরের এমন একজন পার্টনার এসেছে যেখানে কাঞ্চনের কোনও পসেসিভনেস নেই।'
আরও পড়ুন: ১০ বছর পর পর্দায় ফিরছে সামিউল- নূর, নতুন কোন কাহিনি শোনাবেন মানস মুকুল?
কিন্তু এতে কি কাঞ্চনের আদর কমে যাচ্ছে? সেই প্রশ্নে তাঁরা দু'জনই, ‘না না’ বলেন। তারপর শ্রীময়ী বলেন, ‘আমার আদর বেড়ে গিয়েছে। যদি কাঞ্চন সারাদিন বসে আদর খায় তাহলে তো কাজ হবে না।’ পাশ থেকে কাঞ্চন বলেন, ‘আদরে বাঁদর হয়ে যাব।’ তারপর দু'জনই হেসে ফেলেন। তারপর শ্রীময়ী বলেন, ‘আমার মেয়ে কৃষভিকে আমি এত আদর দিচ্ছি সারাদিন, ও আমাকে এত আদর দেয়, এখানে কিন্তু কাঞ্চনের কোনও প্রসেসিভনেস নেই। বলে না যে, কেন এত আদর করলে? বলে করো না, অবাধ আদর।’ শেষ কাঞ্চন বলেন, ‘সেটা মেয়ের জন্য আমার হিংসা হয়। যে মায়ের কাছে চলে গেল, আমার কাছে এল না।’
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৃতীয় বিয়ে করেন কাঞ্চন মল্লিক দীর্ঘদিনের বান্ধবী শ্রীময়ী চট্টোরাজের সঙ্গে। এরপর মার্চ মাসে ধুমধাম করে হয় তাঁদের সামাজিক বিয়েটা। আর বিয়ের ঠিক সাড়ে আট মাসের মাথায়, জন্ম হয় কৃষভির। প্রেগন্যান্সির খবর ঘুণাক্ষরেও সামনে আসতে দেননি তাঁরা।