ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’র আগে, ইসলামাবাদের তরফে একের পর এক পরমাণু অস্ত্র ক্ষেপণের হুমকি এসেছিল। পাকিস্তানের মন্ত্রী হানিফ আব্বাসি খোলাখুলি বলেছিলেন,' কেউ জানে না আমরা আমাদের দেশে কোথায় কোথায় পরমাণু অস্ত্র রেখেছি। আমি আবার বলছি, এই ব্যালাস্টিক মিসাইলগুলি (ঘোরি, শাহিন, গাজনাভি) আপনাদের (ভারতের) দিকে তাক করে রয়েছে।' ভারতকে টার্গেট করে পাকিস্তানের তরফে পরমাণু হানার হুমকি আসে পাক প্রতিরক্ষার মন্ত্রীর তরফেও। এরপর পাকিস্তানের বুকে জঙ্গি নিধনে ভারত শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’। পাকিস্তানের তাবড় জঙ্গি ঘাঁটির পাশাপাশি বায়ুঘাঁটিতেও ভারতের মিসাইল আছড়ে পড়ে। তার কয়েক মাস পরেই ঢোক গিলল পাকিস্তান! এবার পরমাণু অস্ত্র ইস্যুতে শেহবাজ শরিফ খুললেন মুখ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন,' পাকিস্তানের পরমাণু প্রকল্প শুধুমাত্র শান্তি রক্ষার্থে রয়েছে আর জাতীয় প্রতিরক্ষার্থে রয়েছে। আগ্রাসনের জন্য নয়।' প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, পাকিস্তানের তাবড় বায়ুঘাঁটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’র সময় ভারতের পর পর মিসাইল আছড়ে পড়ে। রহিম খান বিমানবন্দর, নূর খান বায়ুঘাঁটিতে ভারতে মিসাইল আছড়ে পড়তেই উদ্বেগে পড়ে যায় ইসলামাবাদ। কিরানা হিলস ঘিরে মিডিয়া রিপোর্টে একাধিক চাঞ্চল্যকর দাবি ওঠে। পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রের ঠিকানা নিয়েও বেশ কিছু রিপোর্ট উঠে আসে। ওই বিষয়ে ভারতের ডিজিএওকে ওক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, যে ভারত কি পাকিস্তানের কিরানা হিলসের কোনও পরমাণু সংক্রান্ত ক্ষেত্রে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে? উত্তরে এয়ার মার্শাল একে ভারতী বলেছিলেন,' আমাদের এটা বলার জন্য ধন্যবাদ যে কিরানা হলসে পরমাণু ইনস্টলেশন আছে। আমরা জানতাম না এটা সম্পর্কে, আর আমরা কিরানা হিলসে যা আছে.. কোনও আঘাত করিনি।' এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রীও সাফ ভাষায় জানিয়ে দেন যে ‘নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেলিং’ চলবে না।
এরপর কেটে গিয়েছে বহু মাস। এখনও পরমাণু সংঘাতের সম্ভাবনা এড়ানো নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তরফ থেকে একাধিক বার্তা উঠে আসে। সেই প্রেক্ষাপটে এবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ কার্যত ইসলামাবাদের তরফে অবস্থান জানিয়ে দিলেন পরমাণু অস্ত্র নিয়ে। ইসলামাবাদ কার্যত ঢোক গিলেই দাবি করছে, তাদের পরমাণু অস্ত্র আগ্রাসনের জন্য নয়। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে একদল পড়ুয়াকে উদ্দেশ্য করে ভাষণ দিতে গিয়ে এই বার্তা দেন তিনি। চারদিনের সামরিক সংঘাতের কথা স্মরণ করে শরিফ বলেন, ভারতীয় সেনা অভিযানে ৫৫ জন পাকিস্তানি নিহত হয়েছে। তবে উত্তেজনা বৃদ্ধির সময় পাকিস্তান 'পূর্ণ শক্তি' দিয়ে জবাব দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।