সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক ব্যক্তিকে অপরের উপর চোটপাট করতে দেখা গিয়েছে। কেউ কেউ মাঝ রাস্তায় নিজের পরিচয় জাহির করে অন্যকে আক্রমণ করেছেন, কেউ আবার বাবার পরিচয়ে। এবার পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে পড়ুয়াদের উপর মারধোরের অভিযোগ উঠল এক আইএএস অফিসারের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের ভিন্ড জেলায়।ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভিন্ড জেলার দীনদয়াল ডাংরাউইলিয়া মহাবিদ্যালয়ের।ঘটনাটি যদিও মাস তিনেক আগের এপ্রিল মাসে। জানা গিয়েছে, ওই সময় কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের গণিত পরীক্ষা চলছিল। সেখানেই আচমকা পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যান জেলাশাসক সঞ্জীব শ্রীবাস্তব। দুটি পৃথক ভিডিওতে শ্রীবাস্তবকে দেখা গিয়েছে। যদিও ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। ওই দুটি ভিডিওর একটি বিএসসি পরীক্ষার হল। যেখানে দেখা গিয়েছে, শ্রীবাস্তবের হাতে একটি কাগজ ধরা রয়েছে এবং তিনি এক ছাত্রকে বেঞ্চ থেকে টেনে বের করে এনে পর পর থাপ্পড় মারছেন। অভিযোগ, ওই ছাত্র পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বন করছিলেন। অপর এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ওই ছাত্রকে তিনি অন্য একটি ঘরে নিয়ে আসেন। সেখানে তাঁর হাতের কাগজটি একজনকে দিয়ে তিনি আবার ওই ছাত্রের উপর চড়াও হন। ‘খাতা কোথায় তোর?’ বলেই তিনি আবার ওই ছাত্রকে থাপ্পড় মারেন। ছাত্র রোহিত রাঠৌরের অভিযোগ, মারধরের ফলে তাঁর কানের ক্ষতি হয়েছে। আইএএস আধিকারিক হওয়ার কারণে কোনও প্রতিবাদ বা বিরোধিতা করারও সাহস পাননি।
আরও পড়ুন-তামিলনাড়ুতে ভয়ঙ্কর কাণ্ড! মালবাহী ট্রেনে বিধ্বংসী আগুন, পরপর বিস্ফোরণ
কিন্তু একজন উচ্চপদস্থ অফিসার, জেলাশাসক কেনই বা আচমকা পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে মারধোর করেছেন? এনডিটিভি-তে নিজের কৃতকর্মের সাফাই দিয়ে জেলাশাসক জানিয়েছেন, তিনি ওই কলেজে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ পেয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, কিছু ছাত্র প্রশ্নপত্র বাইরে পাচার করেছে, সমাধান করিয়েছে এবং সমাধান করা প্রশ্নপত্রগুলি নিয়ে ফের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে নিজেদের খাতায় উত্তর লিখছে, এই ধরনের অভিযোগ ছিল তাঁর কাছে। তিনি জানিয়েছেন, 'আমি সেখানে একটি সংঘবদ্ধ জালিয়াতির চক্রের তদন্ত করতে গিয়েছিলাম। আমি বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি লিখে সুপারিশ করেছি যে ভবিষ্যতে কলেজটিকে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়।'
আরও পড়ুন-তামিলনাড়ুতে ভয়ঙ্কর কাণ্ড! মালবাহী ট্রেনে বিধ্বংসী আগুন, পরপর বিস্ফোরণ
তবে এই একবারই নয়, এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সঞ্জীব। কয়েক দিন আগেই একটি সরকারি মামলার শুনানি চলাকালীন মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের গোয়ালিয়র বেঞ্চ মন্তব্য করে, এমন অফিসারকে দায়িত্বে বহাল রাখা ঠিক হবে কিনা, তা মুখ্যসচিবের বিবেচনা করা উচিত।