দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তার অবসর পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। বুধবার দিল্লিতে আয়োজিত 'সাহারান সংবাদ' অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অবসর গ্রহণের পর বাকি জীবন বেদ, উপনিষদ এবং প্রাকৃতিক কৃষিকাজের জন্য উৎসর্গ করব। গুজরাট ও রাজস্থানের সমবায় কর্মী এবং মহিলাদের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যখনই অবসর নেব, তখনই আমার বাকি জীবন বেদ, উপনিষদ এবং প্রাকৃতিক কৃষিকাজের জন্য ব্যয় করব। প্রাকৃতিক কৃষি একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা, যা অনেক সুবিধা দেয়। সার দিয়ে গম খেলে ক্যান্সার হয়। রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় এবং সুগারের মতো সমস্যা দেখা দেয়। প্রাকৃতিক কৃষিকাজ করলে উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়। অমিত শাহ বলেন, আমি আমার খামারে প্রাকৃতিক কৃষিকাজ করেছি এবং উৎপাদন দেড় গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক কৃষিকাজে এক ফোঁটাও জল নষ্ট হয় না। রাসায়নিক সার দিয়ে ফলানো গম অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে, অন্যদিকে প্রাকৃতিক কৃষিকাজ শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। অমিত শাহ এই দিন নারী সমবায় কর্মীদের সাথে আলাপচারিতা করেন এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন। অনুষ্ঠানে অমিত শাহ দেশে সমবায় বিপ্লবের কথা উল্লেখ করেন।
গুজরাটের বনসকন্ঠের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, 'আমার জন্মের সময় বনসকন্ঠে সপ্তাহে মাত্র একবার স্নানের জন্য জল পাওয়া যেত। বনসকন্ঠ এবং কচ্ছ ছিল গুজরাটের সবচেয়ে দুঃস্থ জেলা। আজ সেখানকার একটি পরিবার শুধুমাত্র দুধ উৎপাদন থেকে বছরে ১ কোটি টাকা আয় করছে। এটি একটি বিশাল পরিবর্তন।'
অমিত শাহ বলেন, যদি আপনি প্রাকৃতিক চাষ করেন, তাহলে বৃষ্টির জল একেবারেই নষ্ট হবে না। আরও সার যোগ করলে মাটিতে কেঁচো তৈরি হয় না এবং অন্যান্য পোকামাকড় নির্মূল হয়। তিনি বলেন, একটি দেশি গরু দিয়ে ত্রিশ একর জমি চাষ করা যেতে পারে। গুজরাটে সরকার একটি গরুর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে ৯০০ টাকা দেয়। এতে উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং মাটিও সুস্থ থাকে। প্রাকৃতিক চাষ আমাদের জন্য সর্বত্র উপকারী। ভারত সরকারের সহযোগিতা মন্ত্রণালয় প্রাকৃতিক চাষের পণ্য কেনার জন্য কমিটি গঠন করেছে। এর রপ্তানির জন্যও কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাকৃতিক চাষে গোবরও ব্যবহার করা হয়, কিন্তু মানুষ তা ফেলে দেয়।
'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চেয়ে সমবায়মন্ত্রী হতে পেরে আমি বেশি খুশি' তিনি বলেন, আমি যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলাম, তখন লোকেরা আমাকে বলত যে তোমার একটা বড় দপ্তর আছে। সর্দার প্যাটেলও এই পদে ছিলেন, তাই এটা একটা বড় ব্যাপার, কিন্তু যেদিন আমাকে সমবায়মন্ত্রী করা হয়েছিল, সেদিন আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে এটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চেয়েও বড় পদ। এই সময় তিনি সমবায় কর্মীদের বলেছিলেন যে আপনারা যে কোনও সময় আমার সাথে দেখা করতে পারেন।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।