ক্রিকেট দুনিয়ার যেন সেরা জুটি হয়ে উঠেছেন জসপ্রীত বুমরাহ এবং সঞ্জনা গণেশন। ক্যামেরার সামনে তাঁদের যা রসায়ন, যেভাবে তাঁরা খুনসুটিতে মেতে ওঠেন, তাতে সিনেমার জগতে থাকলে হয়তো বুমরাহ এবং সঞ্জনাকে ‘ব্লকবাস্টার জুটি’-র তকমাও দেওয়া হত। আর সেই একই খুনসুটির ছবি ধরা পড়ল লর্ডস টেস্টের মধ্যেই। লর্ডসে প্রথমবার পাঁচ উইকেট নেওয়ায় বুমরাহকে মজার ছলে সঞ্জনা প্রশ্ন করেন যে বউকে ইন্টারভিউ দিতে পারবেন ভেবেই বাড়তি উদ্যমে ভারতের তারকা পেসার সেই মাইলস্টোন ছোঁয়ার চেষ্টা করেন কিনা। আর তাতে বুমরাহ যা বলেন, তা মন জিতে নিয়েছে ক্রিকেট ভক্তদের।
একেবারে সিরিয়াস হয়ে প্রশ্নটা শুরু করেন সঞ্জনা
আসলে শনিবার লর্ডস টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭৪ রানে পাঁচ উইকেট নেন বুমরাহ। সেই রেশ ধরেই সরকারি সম্প্রচারকারী সংস্থা সোনি স্পোর্টসে ভারতীয় তারকা পেসারের সাক্ষাৎকার নেন স্ত্রী সঞ্জনা। সেইসময় সঞ্জনা প্রশ্ন করেন, ‘জসপ্রীত, শেষ সাতটি টেস্ট ম্যাচে পঞ্চমবার তুমি (একটি ইনিংসে) পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছো। তুমি দারুণ অভ্যেস গড়ে তুলছো।’
আরও পড়ুন: ১০০ রানে আউট ১০০ বার- উদ্ভট রেকর্ড রাহুলের, লর্ডসে গড়লেন আরও ৬ নজির, কী কী?
‘বউকে ইন্টারভিউ দিতে পারবে ভেবেই ৫ উইকেট নিচ্ছো?’
ততক্ষণ একদম সিরিয়াস হয়ে প্রশ্নটা করছিলেন সঞ্জনা। তারপরই মজার ছেলে সঞ্চালিকা তথা বুমরাহের স্ত্রী বলেন, ‘(পাঁচ উইকেট নেওয়ার পরে) আমি তোমার যে ইন্টারভিউ নেব, সেটা কি তোমার কাছে বাড়তি অনুপ্রেরণার হয়ে দাঁড়াচ্ছে, (পাঁচ উইকেট নিতে) কি তোমায় বেশি উজ্জীবিত করে তুলছে? (হাসির মুখে)’
আরও পড়ুন: ধোনির আরও ১টা রেকর্ড ছুঁলেন পন্ত, টপকালেন ভিভকে, রাহুলের সঙ্গে জুটিতেও নজির
মজার ছেলে উত্তর দেন বুমরাহ
আর সেই প্রশ্ন শুনে হেসে ফেলেন বুমরাহ। হাসতে-হাসতে ভারতের তারকা পেসার বলতে থাকেন, ‘আমার তো মনে হয় ওটাই আসল কারণ। ক্যামেরায় তোমার সঙ্গে কথা বলতে পারার বিষয়টাই সবথেকে বেশি অনুপ্রেরণাদায়ক।’ তারপর অবশ্য সিরিয়াস হয়ে বুমরাহ বলেন, ‘ভালো লাগছে যে ঠিকঠাক যাচ্ছে এখন। আমি কোনও কিছুর পিছনে ছুটতে চাই না। আমি এখন খুব ভালো মানসিক অবস্থার মধ্যে আছি। কারণ আমাদের সন্তান খুব ভালো আছে।’
আরও পড়ুন: ৩৪ বলে ১২০ রান- T20I-তে ইতিহাস অনামী ব্যাটারের! গড়ে ফেললেন ১১ অবিশ্বাস্য রেকর্ড
ডিউক বলের বিতর্ক নিয়েও মুখ খোলেন বুমরাহ
তারইমধ্যে ডিউক বল যে বড্ড তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যাচ্ছে, তা নিয়েও মুখ খোলেন বুমরাহ। তিনি জানান, আগেরবার যখন ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ খেলেছিলাম, তার থেকে বল কিছুটা আলাদা। ২০১৮ সালের সিরিজে যখন খেলছিলাম, তখন বল অনেক বেশি ঘুরছিল। শুষ্ক এবং গরমের কারণে উইকেটের পরিবর্তনটা বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু কখনও ডিউক বল এত পরিবর্তন করতে হয়নি।