ভারতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ফরম্যাটে একটা নতুন প্রাণের যেন সঞ্চার ঘটেছে শুভমন গিলের হাত ধরে। ইংল্যান্ডে প্রথম টেস্টে হারের পর তাঁকে নিয়ে যতটা সমালোচনা হয়েছে, দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর ঐতিহাসিক পারফরমেন্সের পর তাঁকে নিয়ে ততটাই এখন প্রশংসার ঢল বইছে। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য গিলের শুভ দিনে এসেও খুব একটা নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না, আর তাঁর উদ্দেশ্যে একপ্রকার সতর্কবার্তাও দিয়ে দিলেন।
ইডেন গার্ডেন্সে নিজের জন্মদিনের এক অনুষ্ঠানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার দেখা এটাই ওর সেরা ব্যাটিং, আর আমি তাতে একটুও অবাক নই। ও সবেমাত্র অধিনায়ক হয়েছে। ফলে মধুচন্দ্রিমা পর্বে রয়েছে আপাতত। কিন্তু সময় যতই এগোবে, ততই ওর ওপর চাপ বাড়তে থাকবে। এরপরের তিন টেস্টেই কিন্তু ওর ওপর চাপ আরও বাড়বে ’। এখনও পর্যন্ত গিল এই সিরিজে করেছে ৫৮৫ রান, তাঁর ব্যাটিং গড় ১৪৬.২৬। রয়েছে তিনটি শতরান, এর মধ্যে আছে একটি দ্বিশতরানও। এজবাস্টনে টিম ইন্ডিয়ার জয়ের প্রধাণ কাণ্ডারি এই গিলই, কারণ সেই টেস্টে তিনি একাই করেছিলেন ৪৩০ রান।
অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি স্যার ডন ব্র্যান্ডমন ১৯৩৬-৩৭ সালের অ্যাসেজ সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে ৮১০ রান করেছিলেন। এবার সেই রেকর্ডেও হাত বসানোর সুযোগ থাকছে গিলের কাছে আগামী তিন টেস্টে, সেই রেকর্ড ভাঙতে গেলে গিলকে করতে হবে আরও ২২৫ রান।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটে প্রচুর প্রতিভা রয়েছে। প্রত্যেক যুগেই এমন ক্রিকেটাররা আসে। সুনীল গাভাসকরের পর কপিল দেব, সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়, অনিল কুম্বলেরা এসেছে। এরপর বিরাট কোহলি এসেছে। এখ গিল, জসওয়াল, আকাশ দীপ, সিরাজরাও রয়েছে। এটাই প্রতিভার কতটা জোগান রয়েছে দেশে, সেটা প্রমাণ করে। প্রত্যেক যুগেই যখন শূন্যতা তৈরি হবে, এরা এসে সেই স্থান পূর্ণ করবে, আমি আগেও সেটা বলেছি। তবে এখন শুধুই সিরিজ ১-১ হয়েছে। এখনও অনেক খেলা বাকি রয়েছে। ভারত ভালোই খেলেছে। তবে পরের ম্যাচেও ফের সেরাটা দিতে হবে ভারতকে’।