‘অধিকারী পরিবার এখন রাজনীতিতে মূল্যহীন’‌, দিব্যেন্দুর দাবি খারিজ করলেন অখিল

শুক্রবার তমলুকের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, তাঁর বাড়ির উপরে নজরদারি করা হচ্ছে। তাই ড্রোন উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শান্তিকুঞ্জের উপরে। আর তাতে অশান্তি শুরু হয় রাজ্য– রাজনীতিতে। এবার এই বিষয়ে আসল তথ্য সামনে আনলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী তথা কাঁথির দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অখিল গিরি৷ঠিক কী বলেছেন অখিল গিরি? শনিবার অখিল গিরি দাবি করেন, ‘রাজনৈতিকভাবে অধিকারী পরিবার এখন রাজনীতিতে মূল্যহীন। এখন মিথ্যা প্রচারের আশ্রয় নিচ্ছেন। সরকার কোনও ড্রোন উড়িয়ে কাঁথিতে নজরদারি চালাচ্ছে না। আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ব্যক্তিগতভাবে পাড়ার একজন ছেলে নতুন ড্রোন ক্যামেরা কিনেছে। সেই ড্রোন ক্যামেরা পরীক্ষা করার জন্য উড়িয়ে দিয়েছিল৷ কাকতালীয়ভাবে অধিকারী পরিবারের বাড়ি শান্তিকুঞ্জের উপর দিয়ে উড়ে গিয়েছে। সেটাকে প্রচারে আলোয় আনার জন্য এরকম অভিযোগ করা হচ্ছে।’ এদিন দিব্যেন্দুর অভিযোগ উড়িয়ে রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘রাজ্য সরকার কোনও নজরদারি চালাচ্ছে না। এই বিষয়ে সরকারের কোনও ইচ্ছা নেই। তাছাড়া সরকারের যদি কোনও নথি সংগ্রহ করতে হয় তাহলে ড্রোন ক্যামেরা কেন, আমরা অন্যভাবে তদন্ত চালিয়ে নথি সংগ্রহ করে নেব। আসলে ওরা রাজনীতি করার জন্য এই সব অপপ্রচার করছে৷’ গতকাল দিব্যেন্দু এই ঘটনা সংবাদমাধ্যমের সামনে নিয়ে এসে বিধানসভার অধ্যক্ষের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছিলেন।ড্রোন ওড়ানো ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে দিব্যেন্দু অধিকারীর মুখে শোনা গিয়েছিল, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী৷’ আজ এই বিষয়ে অখিলের তীব্র কটাক্ষ, ‘রাজনীতিতে বাঁচার জন্য এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ধরছেন। যে কথাগুলো বলছেন সে কথার কোনও মূল্য নেই। ভিতরে ভিতরে ওরা দলের বিরুদ্ধে কাজকর্ম করছেন। সরাসরি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। দুটো সাংসদ পদ বাঁচিয়ে রাখার জন্য এসব বলছেন।’ মৎস্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে দিব্যেন্দু বলেন, ‘অখিলবাবুর কোনও কথার উত্তর আমি দেব না। উনি কি পুলিশের তদন্তকারী অফিসার? উনি কি করে জানলেন এসব?’