উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির অপব্যবহারের অভিযোগে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পুরিয়া মহেশপুর হাই স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর মুখমণ্ডল এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে অশ্লীল ছবির সঙ্গে জুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে, স্কুলেরই চার ছাত্রের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে পড়ুয়া, অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয়েছে প্রশাসনকে।
আরও পড়ুন: ‘দলকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছেন রাজন্যা’ নগ্ন ছবি বিতর্কে দাবি বান্ধবীর
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ওই কিশোরীর একটি সাধারণ ছবি মোবাইল ফোনে তোলা হয়েছিল, যা পরে এআই ব্যবহার করে অশ্লীল ছবিতে রূপান্তর করা হয়। এই ভুয়ো ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রীটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তরা একই স্কুলের দশম শ্রেণির চার ছাত্র। তাদের বিরুদ্ধে স্কুলে মোবাইল ফোন ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এই কাজ করারও অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর স্কুলের অন্যান্য ছাত্রী ও অভিভাবকরা কালিয়াগঞ্জ থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। তাদের দাবি, অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক এবং স্কুল ক্যাম্পাসে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশে কঠোর নিয়ম প্রয়োগ করা হোক। এক প্রতিবাদী ছাত্রী জানায়, স্কুলে মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ, তবুও তার বান্ধবীর ছবি দিয়ে এমন জঘন্য কাজ করা হয়েছে। অবিলম্বে নিরাপত্তা চায়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুমিত মজুমদার বলেন, মোবাইল ফোন নিয়ে ক্লাসে ঢোকার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জিং। তবে এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, কালিয়াগঞ্জ থানার ইনচার্জ দেবব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে, বিশেষত যখন গত কয়েকদিন আগেই কালিয়াগঞ্জের হরলাল বালিকা বিদ্যালয়ের হোস্টেলে ছাত্রীদের গোপন ছবি তোলার অভিযোগে এক শিক্ষক ও দুই কর্মী গ্রেফতার হয়েছিলেন। অভিভাবকরা এখন স্কুলগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং ভুক্তভোগী ছাত্রীকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে। ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্কুল কর্তৃপক্ষও অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।