পরপুরুষের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন বৌমা। তবে শ্বশুরের আপত্তি ছিল বৌমার পরকীয়ায়। আর তাতে বাধা দিতে গিয়েই বৌমার হাতে প্রাণ দিতে হল শ্বশুরকে। এমনই অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় বীরভূমের মল্লারপুর থানার রাতমা গ্রাম। অভিযোগ, খুন করার পর বৃদ্ধ শ্বশুরকে পুঁতে দেন বৌমা। নিখোঁজ হওয়ার এক দিন পর মাটির নিচ থেকে বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন: ‘বহু নগ্ন মহিলার দেহ কবর দিয়েছি, যৌন হেনস্থা ও শ্বাসরোধ…’, বিস্ফোরক সাফাইকর্মী
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বৃদ্ধের নাম তমাল বাগদি। তিনি রবিবার সকালে চাষের কাজে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু সন্ধে গড়াতেই যখন আর তিনি ফিরলেন না, উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে পরিবার। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। সোমবার বিকেলে গ্রামের এক পুকুরপাড়ে সদ্য খোঁড়া মাটির স্তর দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এরপর খোঁড়াখুঁড়ি করতেই মেলে তমালের নিথর দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তমালের স্ত্রী শুষনি বাগদির অভিযোগ, তাঁর বৌমা গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। মাসখানেক আগে এই নিয়ে তাঁর স্বামীর সঙ্গে বৌমার তুমুল বচসা হয়। তারপরই বৌমা বাপের বাড়ি চলে যান। কিন্তু, সুযোগ বুঝে সে শ্বশুরকে ঠান্ডা মাথায় খুন করে।
তিনি আরও জানান, তাঁর ছেলেও মাস ছয়েক আগে অন্য এক বিবাহিতা মহিলাকে নিয়ে গা ঢাকা দেয়। তারপর থেকেই বৌমার অবৈধ সম্পর্কের খবর গ্রামে ছড়ায়। দিন পনেরো আগে তাঁকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখাও যায় বলে দাবি পরিবারের। এই ঘটনায় শুধু বৌমা নন, তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধেও খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ তিন জনকে আটক করেছে এবং ঘটনার তদন্তে নেমেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে স্পষ্ট হবে মৃত্যুর কারণ। তবে প্রাথমিকভাবে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাই মনে করা হচ্ছে।গ্রামবাসীদের অনেকেই বলছেন, যেভাবে খুন করে দেহ পুঁতে রাখা হয়েছে, তা শুনে রীতিমতো তাঁরা আতঙ্কিত। স্থানীয়দের দাবি, কড়া হাতে বিচার হোক, নইলে এই ধরনের অপরাধ থামবে না।