কাশ্মীরে ২০২৫ সালের এপ্রিলে পহেলগাঁওয়ের ঘটনার বহু আগে, ২০১৯ সালে পুলওয়ামাতেও এক জঙ্গি হামলা হয়। সেবার সিআরপিএফের জওয়ানরা ছিলেন টার্গেটে। সেই হামলায় যে আইইডি ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা তা অনলাইনের অর্ডার থেকে এসেছিল। সন্ত্রাস সম্পর্কিত নজরদারি প্রতিষ্ঠান ‘ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স’ বা এফএটিএফ-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই বিস্ফোরকের জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক এসেছিল ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজনের থেকে।
এফএটিএফ তার রিপোর্টে বলছে, শুধু যে ২০১৯ সালের পুলওয়ামা জঙ্গি হানার সঙ্গেই অনলাইন অর্ডার সম্পর্কিত ঘটনার যোগ নেই, ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষনাথ মন্দিরে হানার সঙ্গেও যোগ রয়েছে অনলাইনে অর্ডারের ঘটনার। রিপোর্ট বলছে, ২০২২ সালের ওই জঙ্গি হানার ঘটনা ঘিরে টাকা সরবরাহ করা হয়েছিল 'পেপাল' ব্যবহার করে। সেই টাকা গিয়েছিল ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গি সংগঠনের কাছে। এফএটিএফ বলছে, এই সমস্ত ঘটনা বলে দিচ্ছে যে, কীভাবে জঙ্গি সংগঠনগুলির অনলাইন অর্ডারের নির্ভরতার ট্রেন্ড। রিপোর্টে পুলওয়ামা হামলা নিয়ে লেখা রয়েছে,' তদন্তে দেখা গিয়েছে সীমান্তপারে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পারাপার হয়েছিল। আর তা ভারতে আসে। উল্লেখ্য, বিস্ফোরকের একটি মূল উপাদান, অ্যালুমিনিয়াম পাউডার, ইপিওএম অ্যামাজন থেকে এসছিল। যে ইপাদান এসেছিল, তা বিস্ফোরণের প্রভাব বাড়াতে সাহায্য করেছিল।'
এদিকে, পুলওয়ামার তদন্তে দেখা গিয়েছিল, এনআইএর জেরায় অভিযুক্ত ওয়াইজ উল ইসলাম বলেছিল, তার অ্যামাজন অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই ওই বিস্ফোরকের জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক আনা হয়। এছাড়াও অনলাইনে আনা হয় ব্যাটারি সহ অন্যান্য সরঞ্জাম। এই কেনাকাটা অনলাইনে চলেছিল জইশ ই মহম্মদের নির্দেশে। এনআইএ বলছে, ওয়াইজ নিজে সেই সমস্ত উপাদান জইশ জঙ্গিদের দেয়। তার আগে তা অনলাইন থেকে আনিয়ে নেয়। এই সমস্ত কিছুই জইশের ষড়যন্ত্রের অঙ্গ ছিল। তদন্তে জানা যায়, পুলওয়ামায় যে মারুতি ব্যবহার হয়েছিল সেটি অভিযুক্ত সজ্জাদ ভাট কিনেছিল। উল্লেখ্য, পুলওয়ামা কাণ্ডের চার্জশিটে জইশ চিফ মৌলানা মাসুদ আজহার সহ আত্মঘাতী বোমারু আদিল দার,রউফ আসগার, আম্মার আলভি সহ আরও ১৫ জনের নাম রয়েছে। উল্লেখ্য, এই মাসুদের পরিবারেরই বেশ কিছু সদস্য সদ্য 'অপারেশন সিঁদুর’-এ নিহত হয়।