নিপা ত্রাসে কেরল। ১২ জুলাই কেরলের পালাক্কাড় জেলায় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। মান্নারক্কাড়ের কাছে কুমারামপুথুরের বাসিন্দা ৫৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি পেরিন্থালমান্নার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। পরে দেখা যায়, তিনি নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। এই মৃত্যুর পর কেরলের পালাক্কাড়, মালাপ্পুরম, কোঝিকোড়, কান্নুর, ওয়ানাড় এবং ত্রিশুর জেলার হাসপাতালগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কী বলছেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী?
কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির মৃত্যুর তার সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন, তার একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। চিকিৎসার পরিভাষায় এই তালিকার নাম কনট্যাক্ট লিস্ট। ইতিমধ্যেই মৃত ব্যক্তির নমুনা পাঠানো হয়েছে মুম্বইয়ের পুনে ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে। ভাইরাসটি আদৌ নিপা ভাইরাস কি না তা খতিয়ে দেখতেই এই উদ্যোগ নিয়ে কেরল সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রোগীর মৃত্যু হয়েছে ১২ জুলাই। তার পর মাঞ্জেরি মেডিকেল কলেজে তাঁর নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হয়। সেখানেই তাঁর নমুনা পজিটিভ এসেছে।
আরও পড়ুন - বদলে যাচ্ছে গলার স্বর! দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ফের করোনার নয়া স্ট্রেন, কী বলছে WHO?
কতজন আক্রান্ত
প্রাথমিকভাবে ওই ব্যক্তির কনট্যাক্ট লিস্টে রয়েছেন ৪৬ জন। সংক্রমণ ছড়িয়েছে অন্যান্য জেলাগুলিতেও। সেই হিসেবে নিপাহ সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছে, এমন তালিকায় রয়েছেন মোট ৫৪৩ জন। মালাপ্পুরম জেলায় ২০৮ জন, পালাক্কাড়ে ২১৯ জন, কোঝিকোড়ে ১১৪ জন এবং এর্নাকুলামে ২ জন ব্যক্তির কন্ট্যাক্ট লিস্টে রয়েছেন।
আরও পড়ুন - সিগারেটের মতো ক্ষতিকর সিঙাড়া, জিলিপি! কেন্দ্রের হিসেবে আর কী কী খাবার বিপজ্জনক?
কতজনের চিকিৎসা চলছে?
মালাপ্পুরমে দশ জনের চিকিৎসা চলছে। তার মধ্যে ২ জন ICU-তে চিকিৎসাধীন। মালাপ্পুরম জেলায় এখন পর্যন্ত ৬২ জনের নমুনা নেগেটিভ এসেছে। পালাক্কাড়ে একজন ব্যক্তি আইসোলেশনে রয়েছেন। রাজ্যে মোট ৩৬ জন সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বিভাগে এবং ১২৮ জন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বিভাগে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
নিপা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ
মূলত যে উপসর্গগুলি এই সংক্রমণে দেখা দেয়, তার মধ্যে অন্যতম হল — জ্বর, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কাশি, বিভ্রান্তি, খিঁচুনি। এছাড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগী কোমায় চলে যেতে পারেন।