গত মরশুমে দুইবার সুপার জায়ান্টদের পরাজিত করায় টাইটানরা কিছুটা মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকতে পারে। তা সত্ত্বেও চলতি মরশুমে এই দুই দলের মধ্যে কঠিন লড়াই দেখা যায়। এ অবস্থায় দুই দলই তাদের সেরা একাদশ নিয়ে মাঠে নামবে।
হার্দিক পান্ডিয়া ও কেএল রাহুল (ছবি-আইপিএল)
শনিবার একনা স্টেডিয়ামে লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং গুজরাট টাইটানসের মধ্যে আইপিএল ২০২৩-এর ৩০ তম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার ডবলহেডার ম্যাচ দেখতে পাবেন ভক্তরা। দ্বিতীয় ম্যাচে মুম্বই মুখোমুখি হবে পঞ্জাবের। ৬ ম্যাচে চারটি জয়ের সঙ্গে লখনউ সুপার জায়ান্টস দল পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তারা তাদের শেষ ম্যাচে টেবিলের শীর্ষস্থানীয় রাজস্থান রয়্যালসকে ১০ রানে হারিয়েছে। যাইহোক, গত মরশুমে দুইবার সুপার জায়ান্টদের পরাজিত করায় টাইটানরা কিছুটা মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকতে পারে। তা সত্ত্বেও চলতি মরশুমে এই দুই দলের মধ্যে কঠিন লড়াই দেখা যায়। এ অবস্থায় দুই দলই তাদের সেরা একাদশ নিয়ে মাঠে নামবে।
লখনউ সুপার জায়ান্টস সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, ফাস্ট বোলার মার্ক উডের ফিটনেস উদ্বেগের বিষয়। অসুস্থতার কারণে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। তবে দল আশা করছে গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে ম্যাচের জন্য তিনি পুরোপুরি ফিট। তার উপস্থিতিতে দলের ফাস্ট বোলিং আক্রমণ বেশ শক্তিশালী মনে হচ্ছে। ওপেনার কুইন্টন ডি কক চলতি মরশুমে একটিও ম্যাচ খেলেননি, এমন পরিস্থিতিতে গুজরাটের বিপক্ষে কাইল মায়ার্সকে বিশ্রাম দিয়ে ডি কককে সুযোগ দিতে পারে দলটি। আবারও দলটি আবেশ খান এবং যুধবীর সিং চরকের কাছ থেকে ভালো পারফরম্যান্সের প্রত্যাশা করবে।
গত ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে তিন উইকেটের পরাজয়ের পর হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন গুজরাট টাইটানস যখন নতুন করে শুরু করতে চায়, লোকেশ রাহুলের নেতৃত্বাধীন লখনউ দল একই দল ধরে রেখে নিজেদের মনোবল বাড়িয়ে রাখতে চাইবে। এই মরশুমে টাইটানদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তাদের রক্ষণভাগ। মহম্মদ শামি প্রথম ওভারে ধারাবাহিকভাবে উইকেট নিতে সক্ষম হয়েছে তবে আলজারি জোসেফ এবং জোশ লিটলের আরও সাহায্যের প্রয়োজন। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও বল হাতে চমক দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। গুজরাট টাইটানস দল এই ম্যাচে খুব কমই কোনও পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামতে পারে।
লখনউ সুপার জায়ান্টরা এই মরশুমে ঘরের মাঠে তাদের তিনটি ম্যাচের মধ্যে দুটি জিতেছে। যদিও দুটি পিচ ছিল ভিন্ন। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচটি ছিল একটি লাল মাটির পিচ, যেখানে মার্ক উড পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন, অন্যদিকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচটি ছিল একটি কালো মাটির পিচ, যেখানে স্পিনারদের আধিপত্য ছিল। লখনউয়ের পিচে ব্যাটসম্যানদের রান তুলতে হিমশিম খেতে হয়েছে, লখনউ ও গুজরাটের ম্যাচেও তেমনই কিছু দেখা যাচ্ছে। এই স্টেডিয়ামে টস জয়ী দল প্রথমে ব্যাট করতে চাইবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।