পরিবর্তনের বাংলাদেশে ক্রমেই অন্ধকার নেমে আসছে খেলাধুলোয়। কখনও ক্রিকেটারদের বেতন না পেয়ে বিদ্রোহ তো কখনও মৌলবাদীদের হুমকির মুখে দেশের নারী ক্রীড়াবিদরা। একটার পর একটা ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইউনুস সরকারের ভূমিকা নিয়ে। সম্প্রতি এরকমই এক ন্যক্কারজনক ঘটনা দেখা যায় বাংলাদেশের জয়পুরহাটে। সেখানে দুই জেলার নারী ফুটবলারদের মধ্যে একটি ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল। মুখোমুখি হয়েছিল জয়পুরহাট এবং রংপুর। খেলাটি হওয়ার কথা ছিল তিলকপুর বিদ্যালয়ের মাঠে। কিন্তু বল গড়ানো তো দূরের কথা, ফুটবলাররা মাঠেই নামতে পারলেন না। অভিযোগ, স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা মাঠে উপস্থিত হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
খেলাকে আয়োজন করে যে বাঁশের কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল তা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, টিনের ছাউনি ছিল, সেটাও রক্ষা পায়নি মৌলবাদীদের হাত থেকে। যদি মহিলা ফুটবলারদের সেই জায়গা থেকে সরিয়ে না নিয়ে যাওয়া হতো তাহলে হয়তো রেহাই পেতেন না তাঁরাও। যারা হামলা চালিয়েছিল তাদের দাবি, ইসলাম ধর্মমতে নারীদের ফুটবল খেলা ‘হারাম’। সেই কারণে এধরণের কিছু হলে সেটা রুখে দেওয়া তাদের ‘কর্তব্য’! এই ঘটনার ভিডিয়োটি মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়। সে দেশের কিছু মানুষ প্রশ্ন তোলেন, ‘এই স্বাধীনতা কি আমরা দেখতে চেয়েছিলাম?’ এরপরেই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বা বাফুফে। চাপের মুখে ঘটনার নিন্দা করেছে তারা।
বাফুফের মিডিয়া ম্যানেজার সাদমান শাকিব একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ফুটবল সবার জন্য। মেয়েদের সমান অধিকার রয়েছে এই খেলায় অংশগ্রহণের।’ তবে এই ঘটনা প্রথম নয়, এর আগে দিনাজপুরে একই কারণে ভণ্ডুল হয়েছিল নারী ফুটবল ম্যাচ। তবে সেখানে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিবাদ দেখানো হয়। ঘটনায় আহত হন ৪ জন। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে প্রায়ই কোনও না কোনও ঘটনা ঘটছে। মৌলবাদীদের দাপাদাপি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে কট্টরপন্থিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না ইউনুস সরকারকে। যেই কারণে এই ধরণের ঘটনা ঘটাতে উৎসাহ পাচ্ছে তারা বলেই মনে করছেন সে দেশের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন জনতা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।