গলায় ঢুকল কাচের টুকরো, WC ভুলে স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটলেন আর্জেন্তাইন তারকা

বিশ্বকাপের মাঝেই বড় বিপর্যয় ঘটে গেল আর্জেন্তাইন তারকার। যার জেরে আর্জেন্তিনার তারকা ফুটবলার লাউতারো মার্টিনেজের স্ত্রী অগাস্টিনা গান্ডোলফোকে নিয়ে ছুটতে হল হাসপাতালে। পানীয়ের সঙ্গে কাচের টুকরো গিলে ফেলেন অগাস্টিনা। তাই নিয়ে দোহায় একেবারে হইহই ব্যাপার।আসলে সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের মাঝে বেশ কিছু দিনের বিশ্রাম রয়েছে। দোহায় অগাস্টিনা গান্ডোলফো নৈশ পার্টিতে গিয়েছিলেন। অগাস্টিনা শুধু লাউতারো মার্টিনেজের স্ত্রী নন, তিনি আর্জেন্তিনার একজন নামী মডেলও। অগাস্টিনার সঙ্গে ছিলেন তাঁর বোন এবং বোনের প্রেমিক। খাদ্য-পানীয় সহযোগে পার্টি ভালোই উপভোগ করছিলেন অগাস্টিনা। হঠাৎ করেই বুঝতে পারেন পানীয়ের সঙ্গে শক্ত মতো কিছু একটা গলায় চলে গিয়েছে তাঁর।আরও পড়ুন: পোলিশ রেফারির হাতে ফাইনালের দায়িত্ব, নাম শুনে স্বস্তি পাচ্ছেন না আর্জেন্তাইনরাসন্দেহ হওয়ায় পানীয়ের বোতলের ভিতরে দেখতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে অগাস্টিনার। দেখেন বোতলের ভিতরে রয়েছে একাধিক কাচের টুকরো। অগাস্টিনা তখন বুঝতে পারেন, তাঁর গলাতেও চলে গিয়েছে কাচের টুকরো। বড় বিপদ আশঙ্কা করেই পার্টি থেকে বেরিয়ে বোন এবং তাঁর প্রেমিককে নিয়ে সোজা হাসপাতালে পৌঁছান অগাস্টিনা। হাসপাতালে যাওয়ার আগে নিরাপত্তা কর্মীদের জানানো হয় বিষয়টি। যোগাযোগ করা হয় দোহায় আর্জেন্তিনার দূতাবাসের সঙ্গেও। খবর পৌঁছায় আর্জেন্তিনা শিবিরেও। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন আর্জেন্তিনা শিবিরের সকলেই।তবে স্বস্তি, বড় ধরনের বিপদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া গিয়েছে। তবে সেই নৈশ ক্লাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন লাউতারোর স্ত্রী। পানীয়ের বোতলের মধ্যে কী ভাবে ভাঙা কাচের টুকরো এল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।আরও পড়ুন: প্রথম বার গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে একই ক্লাবের দুই তারকা!মেসি না এমবাপে- জিতবেন কে?এ দিকে ফাইনালের মাঝে বিশ্রামের সঙ্গে পরিবারের সঙ্গেও হাল্কা মেজাজে সময় কাটিয়েছেন লিওনেল মেসিরা। ক্রোয়েশিয়াকে হারানোর পর একটা দিন চনমনে মেজাজে ছিল পুরো আর্জেন্তাই শিবির। তার মাঝে লাউতারোর স্ত্রীর ঘটনা কিছুটা উদ্বেগে রেখেছিল সকলে। এখনও অবশ্য সবটা ঠিক আছে।এ দিকে রবিবার রাতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের হারাতে পারলেই ১৯৮৬–র পর আবার বিশ্বকাপের শিরোপা উঠবে দিয়েগো মারাদোনার দেশের হাতে। তাই বেশি সময় নষ্ট না করেই বৃহস্পতিবার থেকেই কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে আর্জেন্তিনা। পখির চোখ একটাই, ৩৬ বছর পর বিশ্ব জয়ের স্বাদ পাওয়া। জাতীয় দলের হয়ে মেসির শেষ ম্যাচে ইতিহাস লিখে রাখা!