আসন্ন আমিরশাহি টি-২০ লিগে ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা আদানি গোষ্ঠীর

শুভব্রত মুখার্জি: এশিয়া তথা বিশ্ব ক্রিকেটের মঞ্চে ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজক হিসেবে নিজেদের জায়গা সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে আমিরশাহি। এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড শেষ কয়েক বছরে টি-২০ বিশ্বকাপ, আইপিএল, পাকিস্তানের সিরিজ সহ একাধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ অত্যন্ত সুন্দরভাবে আয়োজন করেছে। এতদিন পর্যন্ত শারজা স্টেডিয়ামের ক্রিকেট মানচিত্রে আলাদা পরিচিতি ছিল। এর পাশাপাশি দুবাই, আবুধাবিও উঠে এসেছে সম্প্রতি। আর আমিরশাহিতে ক্রিকেটের এই ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে নয়া টি-২০ ফ্রাঞ্চাইজি লিগ চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই লিগ হবে ছয়দলীয়। যার মধ্যে ইতিমধ্যেই পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে আবার একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা নিশ্চিত করেছে ভারতের আমদাবাদের পরিকাঠামো সেক্টরের অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগকারী সংস্থা গৌতম আদানির কোম্পানি।প্রসঙ্গত এই লিগে আদানি বিনিয়োগ করেছে তাদের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি আদানি স্পোর্টস লাইনের মধ্যে দিয়ে। অন্য চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা নিশ্চিত করেছে ১) ক্যাপ্রি গ্লোবাল- ভারতের একটি নন-ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানি, ২) ল্যান্সার ক্যাপিটাল- ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের মালিক, ৩) রিলায়েন্স স্ট্র্যাটেজিক বিজনেস ভেঞ্চার লিমিটেড, সাবসিডিয়ারি রিলায়েন্স গ্রুপ, ৪) মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের মালিক গোষ্ঠী এবং জিএমআর গ্রুপ-দিল্লি ক্যাপিটালস দলের যৌথ মালিক। গত বছর আইপিএলেও নয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি আমদাবাদ এবং লখনউ কেনার বিষয়ে বিড করেছিল আদানি গোষ্ঠী। যদিও তাদের ৫১০০ কোটি টাকার বিডকে পিছনে ফেলে সিভিসি ক্যাপিটাল পার্টনার্স এবং আরপি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপ বাজিমাত করে। এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ডের জেনারেল সেক্রেটারি মুবাস্সির উসমানি আদানি গোষ্ঠীকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি তাদের অংশগ্রহণে যে তারা উচ্ছ্বসিত তাও জানাতে ভোলেননি। ফেব্রুয়ারি-মার্চেই এই লিগ আয়োজনের কথা থাকলেও তা সম্ভব না হলেও এই বছর অন্য সময়ে তা আয়োজনের বিষয়ে আশাবাদী এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড। মোট ৩৪টি ম্যাচ খেলা হবে এই লিগে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ২৯ মে আইপিএল শেষ হলেই বসতে পারে এই টুর্নামেন্টের আসর।