বার বার আক্রমণ নেমে এসেছিল। বার বার তাঁকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির পোড় খাওয়া নেতৃত্ব। কিন্তু তারপরেও নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি রাহুল গান্ধী। আর ঝড় বিধ্বস্ত সেই দিনগুলিতে বার বার পাশে থেকেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সভায় সমিতিতে , রাস্তায় ভার জোড়ো যাত্রায় বার বার দেখা গিয়েছে রাহুল প্রিয়াঙ্কাকে।
এবার কংগ্রেসের ফল ভালো হতেই মুখ খুললেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, 'তুমি সবসময় দৃঢভাবে দাঁড়িয়েছিলে। তারা কী বললেন, তারা কী করলেন সেটা কোনও ব্যাপার নয়। তুমি কখনও পেছন ফিরে তাকাওনি। …তুমি সত্যের জন্য লড়াই ছেড়ে বেরিয়ে আসনি। তারা একের পর এক মিথ্যে ছড়িয়ে গিয়েছে। তারা তোমার দিকে বার বার রাগ, ঘৃণা ছড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু তার বিনিময়ে তুমি সেটা ফিরিয়ে দাওনি। তুমি ভালোবাসা, সত্যি আর হৃদয়ের দয়াশীলতার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে গিয়েছ। যারা এতদিন তোমায় দেখতে পাননি তারা এবার তোমায় দেখতে পাবেন। কিন্তু আমরা কয়েকজন জানি তুমি সকলের থেকে সাহসী। রাহুল গান্ধী আমি তোমার বোন হিসাবে গর্বিত।' এরপরই তিনি লাভ সাইন দেন।
ভাইয়ের প্রতি বোনের এই স্নেহ, এই ভালোবাসা নিঃসন্দেহে ভারতের পরিবারের একটি বিশেষ দিক। তবে সবসময় দেখা দিয়েছে দাদা রাহুলের পাশে সবসময় থেকেছেন প্রিয়াঙ্কা। রাহুলের বিরুদ্ধে যখনই আঙুল তুলেছেন বিজেপির নেতৃত্ব তখনই তার পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।
এদিকে এবার ভোটে দাঁড়াননি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কিন্তু সবসময় থেকেছেন রাহুলের পাশে। এনিয়েও সমালোচনায় বিদ্ধ করা হয়েছে তাঁকে। আর রাহুল ৪ তারিখ ফলাফল প্রকাশের পর বলেন, ‘উত্তর প্রদেশের নির্বাচনী লড়াইতে আমার বোন প্রিয়াঙ্কার একটি বড় ভূমিকা ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশের মানুষ চমৎকার ভূমিকা নিয়েছেন। ইউপি’র লোকেরা দেশের রাজনীতি এবং সংবিধানের বিপদ বুঝতে পেরেছিলেন, তারা সংবিধানকে রক্ষা করলেন। কংগ্রেস পার্টি এবং ভারত জোটকে সমর্থন করার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
এদিকে নিজের জয় ও কংগ্রেসের ভালো ফল হওয়ার পরে রাহুল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, ‘এই নির্বাচন ছিল সংবিধান বাঁচানোর লড়াই। তারা আমাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাতিল করেছিল, একজন মুখ্যমন্ত্রীকে জেলে ভরেছিল। বিরোধী দলগুলি নানান ভাবে আক্রমণ করেছিল বিজেপি সরকার, তখন আমার মনে হয়েছিল, ভারতীয়রা সংবিধানের জন্য একসাথে লড়াই করবে। আজ এটি সত্য প্রমাণিত হল।’