কলকাতার দিকে যাচ্ছিল ভিস্তেরা বিমান। মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটি। সেই বিমানের মুখ ঘুরিয়ে ফের দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হল। শুক্রবার সন্ধ্যার ঘটনা।
ফ্লাইট নম্বর UK 707। পথেই এই বিমানের ইঞ্জিনে ত্রুটি ধরা পড়ে। সেই সময় বিমানে সব মিলিয়ে ১৬০জন যাত্রী ছিলেন। পথেই যান্ত্রিক ত্রুটির কথা বুঝতে পারা যায়। এরপরই আর ঝুঁকি নেননি পাইলট।
ভিস্তেরার মুখপাত্র একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, টেক অফের কিছুক্ষণ পরেই ওই ফ্লাইটের কারিগরি সমস্যা ধরা পড়ে। ভিস্তেরার ওই ফ্লাইট ইউকে ৭০৭ দিল্লি থেকে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। এরপর তৎক্ষণাৎ পাইলট ফ্লাইট ঘুরিয়ে দিল্লির দিকে রওনা দেন। তবে দিল্লির আইজিআই এয়ারপোর্টে একেবারে নিরাপদে নেমেছে এই বিমান।
এনডিটিভির খবর অনুসারে জানা গিয়েছে সূত্র বলছে ওই বিমানে ইঞ্জিনে ত্রুটি ছিল। সেকারণে সেটিকে দিল্লি বিমানবন্দরে জরুরী অবতরণ করতে হয়। বিমান সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হচ্ছে বিমানের।
বিমান সংস্থার মুখপাত্রের দাবি, একটা বিকল্প এয়ারক্রাফট দ্রুত ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ওই বিমানের যাত্রীদের বিকল্প বিমানে ওঠানো হয়। তবে এই যে অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি তার জন্য তার জন্য় যাতে বড় কোনও সমস্য়া না হয় তার সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এর আগে গত ২২ জুন আরও এক কাণ্ড ঘটে ভিস্তারাতে। ফ্লাইট ইউকে-৯৯৬। মুম্বই থেকে সেটি ছাড়ার কথা ছিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। সেটাই ছেড়েছিল রাত সাড়ে ১০টায়। ভিস্তারার সেই ফ্লাইটের প্রায় চার ঘণ্টা দেরি হয়েছিল। কেন জানেন? ফ্লাইটের এক প্যাসেঞ্জার হাইজ্যাক হাইজ্যাক বলে চিৎকার করছিলেন। তারপরই আর বিমান ছাড়ার ঝুঁকি নেয়নি সংস্থা। দ্রুত সমস্ত যাত্রীদের নামিয়ে ফেলে বিমানে তল্লাশি চালানো হয়।
এক আধিকারিক হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছিলেন, একজন যাত্রী বিমানটি ছাড়ার ঠিক আগে হাইজ্যাক হাইজ্যাক বলে চিৎকার করছিলেন। এরপরই সন্দেহ দানা বাঁধে। এরপর সমস্ত যাত্রীদের নামিয়ে বিমান খালি করে তল্লাশি চালানো হয়।
ভিস্তেরার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২২জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ বিমানটি উড়ে যাওয়ার কথা ছিল। সেই সময় এক যাত্রী অন্যরকম ব্যবহার করছিলেন। এরপর গাইডলাইন মেনে ও স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর মেনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। এরপর যাত্রীকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গোটা বিমানে তল্লাশি করা হয়। তারপর বিমান ছাড়া হয়েছিল।