মায়ানমারের মন্দালয় যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে শুক্রবারের ভূমিকম্পে। এদিকে মায়ানমারের পাশাপাশি থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামেও এই কম্পন অনুভূত হয়েছিল। এদিকে জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে ফের একবার এই এলাকা কেঁপে ওঠে ভূমিকম্পে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় ২৮ মার্চ রাত ১১টা ৫৬ মিনিটে মায়ানমারে আবারও একটি ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৪.২ । এদিকে মায়ানমারে সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১০০০ জনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২০০০ জন। (আরও পড়ুন: বিক্রি হয়ে গেল ইলন মাস্কের এক্স, কত দাম উঠল এই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার?)
আরও পড়ুন: 'মোদী খুবই স্মার্ট, আমার ভালো বন্ধু', শুল্কযুদ্ধে ভারত নিয়ে বড় বার্তা ট্রাম্পের
মায়ানমারের সামরিক জুন্তা প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং দাবি করেছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই আবহে যে কোনও দেশের থেকেই তিনি সাহায্যের প্রার্থনা করেছেন। এই আবহে ভারত প্রাথমিক ভাবে ১৫ টন ত্রাণ সামগ্রী পাঠাচ্ছে। ভারতীয় বায়ুসেনার সি ১৩০জে বিমানে করে এই সব সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে তাঁবু, স্লিপিং ব্যাগ, কম্বল, রেডি টু ইট মিল, ওয়াটার পিউরিফায়ার, হাইজিন কিট, সোলার ল্যাম্প, জেনরেটর সেট, অত্যাবশ্যক ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। (আরও পড়ুন: 'ইদে দাঙ্গা করতে পারে বাংলাদেশিরা, হতে পারে বিস্ফোরণ', নিরাপত্তা জোরদার মুম্বইতে)
মায়ানমারের সামরিক সরকার জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে রক্তের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মান্দালয়ের রাস্তায় ফাটল ধরেছে। ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়কের পাশাপাশি একটি সেতু ও বাঁধ ধসে পড়েছে। এর জেরে উদ্ধারকারীদের ঘটনাস্থলে যেতে সমস্যা হচ্চে। এদিকে ভূমিকম্পের পর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ছয়টি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে মায়ানমার। এদিকে ব্যাঙ্ককেও জরুরি অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পাইতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বলেছেন, নিরাপত্তার জন্য ব্যাঙ্ককের 'প্রতিটি ভবন' পরিদর্শন করা হবে। এদিকে এই আবহে ভারতের পাশাপাশি ফ্রান্স এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। মায়ানমারকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। রাষ্ট্রসংঘ ইতিমধ্যেই ৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকে পর পর ১৫ বার কেঁপেছে মায়ানমারের মাটি। শুক্রবারের প্রথম কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭.৭ ছিল। এরপর পরবর্তী ১০ ঘণ্টাতে ১৪টি আফটারশক হয়। এর মধ্যে একটির মাত্রা ছিল ৬.৭। মায়ানমারে এখনও জারি আছে উদ্ধারকাজ। এই আবহে মৃত্যুমিছিল কোথায় গিয়ে থামবে, তা বলা যাচ্ছে না এখনই। এদিকে এই ভূমিকম্পের জেরে ঠিক কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাও স্পষ্ট নয়।