'লাটকা ঝটকা' মানেটা কী? স্মৃতি ইরানির কাছে ক্ষমা চাইতে অস্বীকার কংগ্রেস নেতার

স্বাতী ভাসিনসোমবার রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে তির ছুঁড়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। রীতিমতো টুইট করে তিনি রাহুল গান্ধীকে জোরালো আক্রমণ করেন। আসলে সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা অজয় রাইয়ের একটি মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরব হয়েছেন স্মৃতি ইরানি। সম্প্রতি অজয় রাই জানিয়েছিলেন, আমেঠি গান্ধী পরিবারের আসন। রাহুলজী এখানকার এমপি ছিলেন। রাজীব জী , সোনিয়াজিও এখান থেকে জিততেন।এদিকে বর্তমানে সেই আসন থেকে জিতেছেন স্মৃতি ইরানি। সেই প্রসঙ্গ এনে তিনি বলেন, আমেঠির বেশিরভাগ কারখানাই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জগদীশপুর এলাকায় অর্ধেক কারখানাই বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। স্মৃতি ইরানি শুধুমাত্র আসেন আর লাটকা, ঝটকা দেখান। আর চলে যান। দলের স্থানীয় নেতা অজয় রাইয়ের এই মন্তব্যের পরেই তীব্র আক্রমণ শুরু করেন স্মৃতি ইরানি। নারীবিদ্বেষী বলেও তোপ দাগেন তিনি।তিনি লিখেছেন,‘আপনার (রাহুল গান্ধী) আঞ্চলিক এক নেতার থেকে খুব খারাপ ভাষায় জানতে পারলাম যে ২০২৪ সালে আমেঠি থেকে ফের নির্বাচনে লড়তে চলেছেন আপনি। তাহলে কি আমি ধরে নিতে পারি যে আপনি নিশ্চিত ভাবেই আমেঠি থেকেই লড়বেন এবং অন্য কোনও আসনে পালিয়ে যাবেন না? আপনি ভয় পাবেন না? পুনঃশ্চ, আপনি এবং আপনার মাম্মিজির উচিত এই নারীবিদ্বেষী গুন্ডার জন্য নতুন স্পিচরাইটার নিয়োগ করা।’এদিকে স্মৃতি ইরানির এই মন্তব্য়ের পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অজয় রাই। লাটকা ঝটকার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। সংবাদ সংস্থাকে তিনি জানিয়েছেন, আমি কাউকে অপমান করতে চাই না। এটা আমাদের প্রচলিত ভাষা।তার মানে হল আচমকা কেউ এলেন কিছু বললেন আবার ঝট করে চলে গেলেন। এটা অসংসদীয় ভাষা নয়। কেন এনিয়ে ক্ষমা চাইব? সাফ জানিয়েছেন অজয় রাই।