রাজনৈতিক ভাবে যেন আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। একেই অ্যাপ্রুভাল রেটিং তলানিতে গিয়ে ঠেকছে তাঁর। এরই মাঝে আর্থিক ঘাটতি দেখা দিয়েছে তাঁর দেশে। এহেন পরিস্থিতিতে আচমকাই গতকাল অর্থমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। অবশ্য এর কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজের বিশ্বস্ত সহকর্মী ডমিনিক লেব্লঁকে এই পদে বসান জাস্টিন ট্রুডো। রিপোর্ট অনুযায়ী, কানাডার বাজেট ঘাটতি ৬২ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার। আগের অনুমানের থেকে যা ২২ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার বেশি। এহেন পরিস্থিতিতে ডমিনিকের কাজটা বেশ শক্ত হতে চলেছে। তবে দেখা গিয়েছে, বিগত দিনগুলিতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেই ডমিনিকের প্রতি আস্থা দেখিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। (আরও পড়ুন: 'ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত…', প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতেও ঘুষ কাণ্ডে মিলল না স্বস্তি)
আরও পড়ুন: 'আমাদের দুই শত্রু: মুজিববাদ ও হিন্দুত্ববাদ', মন্তব্য বাংলাদেশি নেতার
উল্লেখ্য, বিগত মাসগুলিতে কানাডা জুড়ে জাস্টিন ট্রুডোর জনসমর্থন কমেছে। এমনকী নিজের দলেও ট্রুডো বিরোধীর সংখ্যা বেড়েছে। এই আবহে ক্রিস্টিয়া দাবি করেন, কানাডার জন্য 'সবচেয়ে ভালো পথ' কী হতে পারে, তা নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ট্রুডোর সঙ্গে তাঁর মতানৈক্য চলছিল। এই আবহে গত সপ্তাহে ট্রুডো নাকি ক্রিস্টিয়াকে জানিয়েছিলেন তিনি তাঁকে আর এ পদে চান না। এই আবহে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ক্রিস্টিয়া লেখেন, 'চিন্তা-ভাবনার পর আমি এ সিদ্ধান্ত পৌঁছলাম যে, মন্ত্রী পরিষদ থেকে পদত্যাগ করাটাই আমার জন্য একমাত্র সৎ ও কার্যকর পথ।' (আরও পড়ুন: 'ভারতের কাছে বাংলদেশের সার্বভৌমত্ব লিজ রেখেছিল…', বিস্ফোরক বাংলাদেশের সারজিস আলম)
আরও পড়ুন: আওয়ামি লিগকে 'অগণতান্ত্রিক' ভাবে মুছে ফেলতে ছক বাংলাদেশে? ভোট নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকে কানাডায় ক্ষমতায় আছে জাস্টিন ট্রুডোর লিবেরাল পার্টি। বর্তমানে তাঁর সরকারের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতাও নেই। আসন্ন নির্বাচনে ট্রুডোর মূল প্রতিপক্ষ কনজারভেটিভ পার্টি। এছাড়াও জগমিৎ সিংয়ের নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টিও এই নির্বাচনে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে চলেছে বলে মত বিশ্লেষকদের। এছাড়া গ্রিন পার্টি এবং ব্লক কুইবেকসও কিছু আসন দখল করতে পারে। এদিকে কানাডায় ক্রমেই সমর্থন হারাচ্ছেন ট্রুডো। এমনকী দলেও চাপের মুখে আছেন ট্রুডো। অপরদিকে এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে বিরোধীদের পায়ের তলার জমি আরও শক্ত হচ্ছে। এদিকে মার্কিন মুলুকেও উদারপন্থী ডেমোক্র্যাটদের হার এবং রক্ষণশীল রিপাবলিকানদের জয়ের 'প্রভাব' পড়তে পারে সীমান্ত পার কানাডায়। উল্লেখ্য, কানাডাতেও অভিভাসন একটি বড় ইস্যু। সেই প্রায় একই ইস্যুতে আমেরিকাতে নির্বাচন লড়েছিলেন ট্রাম্প।