চিনা পণ্যের ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাড়তি শুল্কের ফলে অ্যাপল তাদের আইফোন উৎপাদনের বেশিরভাগই ভারতে সরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে। এমনই দাবি করা হল মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে। অ্যাপল যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি দাবি করা হয়েছিল, ট্রাম্পের শুল্কের জেরে আইফোনের দাম অনেকটাই বাড়তে পারে। আর তাতে বিক্রি কমতে পারে। এই আবহে গ্রাহক ধরে রাখতে এবং আইফোনের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিনের থেকে ব্যবসা গুটিয়ে ভারতে উৎপাদন বাড়াতে পারে অ্যাপল। (আরও পড়ুন: এবার ট্রাম্পের আমেরিকার বিরুদ্ধে ২৫% পালটা শুল্ক চাপাতে সম্মত ২৭টি দেশ)
আরও পড়ুন: বিশ্ব অর্থনীতিকে রোলারকোস্টারে চাপিয়ে ঘোরাচ্ছেন ট্রাম্প, শুল্ক নিয়ে এবার বললেন…
২০১৭ সাল থেকে অ্যাপল ভারতে আইফোন একত্রিত করার কাজ করছে। অবশ্য অ্যাপলের হয়ে এই কাজ করে অংশীদার সংস্থা। প্রাথমিক ভাবে অ্যাপল আইফোনের পুরানো মডেলগুলি অ্যাসেম্বল করার মাধ্যমে কাজ শুরু করেছিল এবং ধীরে ধীরে ভারতেও আইফোনের আধুনিকতম সংস্করণ উৎপাদনে পা রেখেছে তারা। মার্চের শেষ সপ্তাহে নাকি অ্যাপলের তরফ থেকে পাঁচটি বিমানে ভরে ভারত এবং চিন থেকে আইফোন এবং অন্যান্য গ্যাজেট উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আমেরিকায়। উল্লেখ্য, মার্চে আমদানি করা পণ্যের ওপর আমেরিকা শুল্ক চাপায়নি। (আরও পড়ুন: দলেরই মহিলা সাংসদকে কুকথা, কে TMC-র সেই MP? সামনে ভিডিয়ো; ফাঁস হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট)
আরও পড়ুন: 'আমি আসছি...', বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ কর্মীদের বড় বার্তা হাসিনার
এদিকে শুল্ক নিয়ে মঙ্গলবারের মধ্যে চিন সিদ্ধান্ত না নিলে বেজিং-এর উপরে আরও ৫০% শুল্ক বসানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। সেই আবহে সব মিলিয়ে চিনা পণ্যে তার হার দাঁড়াবে ১০৪ শতাংশ। এই আবহে আবার বেজিংয়ের বক্তব্য, 'ভুলের উপর ভুল করছে আমেরিকা। আরও এক বার আমেরিকার ব্ল্যাকমেল করার চরিত্রটি প্রকাশ্যে চলে এল।' চিনের সাফ কথা, 'যদি আমেরিকা এই ভাবেই চলার কথা ভাবে, তবে চিনও শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে।'
উল্লেখ্য, বিশ্বের ৫৭টি দেশের ওপর শুল্ক চাপিয়ে নিজের দেশকেই মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আবহে মার্কিন শেয়ার বাজারে ধস নেমেছিল গত সপ্তাহের শেষের দিকে। সেই সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য ছিল, 'এটাই বড়লোক হওয়ার সময়।' তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, 'আমার শুল্ক নীতি বদলাবে না।' কিন্তু এতে কীভাবে আমেরিকার লাভ হতে পারে? ট্রাম্পের দাবি, শুল্কের ভরে অন্যান্য দেশগুলি আমেরিকায় রফতানি করার বদলে, সরাসরি সেখানেই কারখানা তৈরি করবে। এতে আমেরিকার অর্থনীতি ফুলে-ফেঁপে উঠতে পারে। তবে জেপি মর্গ্য়ানের মতো সংস্থার তরফ থেকে পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে, আমেরিকার অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিতে পারে।