সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আপত্তিকর পোস্টকে কেন্দ্র করে ২ সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল ওড়িশার ভদ্রকে। তারপরই ভদ্রকে নিষেধাজ্ঞা জারি করল প্রশাসন। পুরানবাজার থানার আওতাধীন এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একটি সম্প্রদায়ের মানুষজন পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। তারফলে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করেছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
আরও পড়ুন: ১০০ কোটির দাবিতে তির-ধনুক নিয়ে স্কুল দখল ব্যক্তির, ৪ দিন ধরে চলল ‘লড়াই’
স্বরাষ্ট্র দফতরের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হিংসার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমস্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যাতে সমস্ত সোশ্যাল মাধ্যমে কেউ গুজব ছড়াতে না পারে। জানা গিয়েছে, একটি আপত্তিকর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ভদ্রক টাউন থানার সাঁথিয়ার কাছে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে। তারফলে তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন ভদ্রক টাউন থানার আইআইসি অজয় সুদর্শন, এসআই রোজেন মুর্মু এবং ভদ্রক সিটির ডিএসপি আনসুমান দ্বিবেদী। সুদর্শন এবং মুর্মু মাথায় আঘাত পান এবং দ্বিবেদী পায়ে আঘাত পান।
ভদ্রক জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, হিংসা এড়াতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জমায়েত, সভা এবং বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের তরফে জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছে, যেকোনও ধর্মীয় সভা, জমায়েত, সভা, আন্দোলন ওই এলাকায় কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এর লঙ্ঘন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, একটি গোষ্ঠী সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। সেই পোস্টের জন্য অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। তবে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রায় ৫০ জন বিকেলে একটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
বিক্ষোভকারীরা ভদ্রক শহরের উপকণ্ঠে সাঁথিয়ায় পৌঁছলে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে। শহরে প্রবেশ না করার নির্দেশ দেওয়া হয় তাদের। এর প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করলে তারা পাথর ছুড়ে মারে পুলিশকে। বিক্ষোভকারীরা গাড়িও ভাঙচুর করে। এই ঘটনার ঠিক পরেই এলাকায় বিপুল সংখ্যায় পুলিশ মোতায়ন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন।