ডা. ভীম রাও আম্বেদকর ছিলেন ভারতের অন্যতম দূরদর্শী নেতা। তিনি সাম্য ও স্বাধীনতার মিশ্রনে ভারতীয় আইন ব্যবস্থাকে নতুন রূপ দিয়েছিলেন। ডা. বি. আর. আম্বেদকরের মূল্যবোধ এবং নীতিগুলি দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রেরণা। ভারতীয় সংবিধান গঠনে তাঁর অপরিসীম অবদানের জন্য, তাঁকে 'ভারতীয় সংবিধানের জনক'ও বলা হয়। তিনি ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম আইনমন্ত্রী। মধ্যপ্রদেশের একটি দলিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর সময়ের সবচেয়ে শিক্ষিত ভারতীয়দের একজন হওয়া পর্যন্ত, ডা. বি. আর. আম্বেদকরকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। সোমবার তাঁর জন্মবার্ষিকীতে জেনে নিন তাঁর জীবনের নানা অজানা কাহিনি।
১) ডা. বাবা সাহেব আম্বেদকরের ১৪ এপ্রিল, ১৮৯১ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন তাঁর বাবা-মায়ের ১৪তম ও শেষ সন্তান।
২) তাঁর বাবা রামজি মালোজি সকপাল ছিলেন ব্রিটিশ আর্মির একজন সুবেদার এবং সন্ত কবীরের অনুসারী।
৩) তিনি বরোদার মহামান্য সায়াজিরাও গায়কোয়াড়ের বৃত্তি নিয়ে বোম্বের এলফিনস্টন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে, বরোদা সংস্থায় চাকরিও করেন। পরে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলার হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
৪) তিনি ১৯১৫ সালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ এবং পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
৫) তিনি কোলহাপুরের মহারাজার কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়ে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সে তাঁর পড়াশোনা শেষ করেন।
৬) তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে ভারত জুড়ে মহাপরিনির্বাণ দিবস হিসেবে পালিত হয়।
তাঁর কিছু মহান উক্তি
১) আমি একটি সম্প্রদায়ের অগ্রগতি পরিমাপ করি নারীদের অগ্রগতির মাত্রা দিয়ে।
২) যতক্ষণ না তুমি সামাজিক স্বাধীনতা অর্জন করতে পারো, ততক্ষণ আইন দ্বারা প্রদত্ত যে কোনও স্বাধীনতা তোমার কোনও কাজে আসবে না।
৩) আমি সেই ধর্ম পছন্দ করি যে ধর্ম স্বাধীনতা, সাম্য এবং ভ্রাতৃত্ব শেখায়।
৪) শিক্ষিত হও, সংগঠিত হও এবং উত্তেজিত হও।
৫) মনের স্বাধীনতাই আসল স্বাধীনতা।
৬) আমি আমার দেশ ভারতকে নিয়ে গর্বিত, কারণ আমাদের এমন একটি সংবিধান আছে যেখানে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
৭) জীবন দীর্ঘ নয়, বরং মহান হওয়া উচিত।
৮) মানুষ নশ্বর। ধারণাও তাই। একটি ধারণার প্রচারের প্রয়োজন ঠিক যেমন একটি উদ্ভিদের জলের প্রয়োজন। অন্যথায় উভয়ই শুকিয়ে যাবে এবং মারা যাবে।
৯) উদাসীনতা হল সবচেয়ে খারাপ ধরণের রোগ যা মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে।
এই বিশেষ দিনে কী কী শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতে পারেন কাছের মানুষদের দেখে নিন
১) আমাদের ব্যক্তিত্বে আত্মবিশ্বাসের চেতনা বিরাজ করুক এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দান করুক। শুভ আম্বেদকর জয়ন্তী।
২) আসুন আমরা ভারতের উন্নয়নে তাঁর অসাধারণ অবদান স্মরণ করে ডা. ভীম রাও আম্বেদকরের কঠোর পরিশ্রম এবং ত্যাগকে সম্মান জানাই।
৩) ডা. বি.আর. আম্বেদকর একজন চিরন্তন চেতনা, তিনি লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন এবং প্রতিদিন আমাদের মনে করিয়ে দেন যে আমাদের দুঃখ এবং সাফল্যের জন্য কেবল আমরাই দায়ী। আম্বেদকর জয়ন্তীর শুভেচ্ছা।
৪) সকলকে আম্বেদকর জয়ন্তীর শুভেচ্ছা এবং সমাজের কল্যাণে কাজ করার জন্য প্রচুর ইচ্ছাশক্তির শুভেচ্ছা।