পরবর্তী খবর
Kapil Muni: কে ছিলেন কপিল মুনি? কেনই বা শাপ দেন রামের পূর্বপুরুষকে
1 মিনিটে পড়ুন . Updated: 14 Jan 2025, 09:38 PM IST
Share 
বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Kapil Muni: কে ছিলেন কপিল মুনি? কেনই বা শাপ দেন রামের পূর্বপুরুষকে
Share গঙ্গাসাগরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কপিল মুনির নাম। কিন্তু কে ছিলেন এই ঋষি? আসুন জেনে নেওয়া যাক ষাট হাজার সগর সন্তানের উপাখ্যান কীভাবে জড়িয়ে রয়েছে কপিল মুনির সঙ্গে।
কপিল মুনি ও ষাট হাজার সগর সন্তানের উপাখ্যানটি ভাগবত পুরাণ এবং স্কন্দ পুরাণসহ অন্যান্য হিন্দু পুরাণে বর্ণিত একটি বিখ্যাত ঘটনা।
উপাখ্যানে মূল ঘটনা
কপিল মুনির জন্ম হয়েছিল শ্রীমহাবাহুর কন্যা অমৃতার গর্ভে। তিনি অত্যন্ত ধীমান, জ্ঞানী এবং আধ্যাত্মিক গুণাবলি সম্পন্ন। তাঁর শিক্ষা ও দর্শন অনুসরণ করে বহু মানুষ আধ্যাত্মিক মুক্তি লাভ করেছিল।
ষাট হাজার সগর সন্তানের উপাখ্যান
একবার, রাজা সাগরের ষাট হাজারটি সন্তান (যিনি প্রাচীন হিন্দু পুরাণে একজন মহাপরাক্রান্ত রাজা হিসেবে পরিচিত) ঋষি কপিল মুনির অযাচিত শাপের কারণে মারা যান। ঘটনার সূত্রপাত হয় রাজা সাগরের ষাট হাজার পুত্রের যাত্রা থেকে।
ষাট সগরের যাত্রা
রাজা সাগরের পুত্রদের লক্ষ্য ছিল পবিত্র অমৃত অর্জন করা। তারা মহাপৃথিবীর সকল প্রান্তে ঘুরে এক সময় কপিল মুনির আশ্রমে এসে উপস্থিত হয়। কপিল মুনি তখন গভীর ধ্যানমগ্ন ছিলেন। তার আধ্যাত্মিক শক্তি এতই প্রবল ছিল যে, যেই কোন ব্যক্তি তার আশ্রমে চলে আসত, তারা তাকে বিভ্রান্ত করে এক বিভ্রান্তিকর দৃশ্যে পরিণত করত।
কপিল মুনির অপার শক্তি
প্রসঙ্গত অশ্বমেধ যজ্ঞের হারিয়ে যাওয়া ঘোড়া খোঁজার জন্যই রাজা সাগরের ষাট হাজার পুত্ররা কপিল মুনির আশ্রমে পৌঁছান। সেখানে ঘোড়াটি খুঁজে পাওয়ার পর কপিল মুনিকে চোর ভেবে বসেন। যাতে মুনির সম্মানহানি হয়। কপিল মুনি তখন একটি ক্ষিপ্র দৃষ্টি মেলতেই ষাট হাজার পুত্র এক মুহূর্তে ভস্মীভূত হয়ে যায়। তাঁর শাপে তারা ছাই হয়ে যায়।
রাজার দুঃখ
রাজা সাগরের কাছে তার পুত্রদের মৃত্যু সংবাদ পৌঁছলে তিনি অত্যন্ত দুঃখিত হন। তিনি বহু ঋষি ও পন্ডিতদের কাছে গিয়ে পরামর্শ চাইলেন। তারা তাঁকে জানান, কপিল মুনির অভিশাপ থেকে রেহাই পেতে হলে তাকে বিশেষ উপায়ে পুণ্য লাভ করতে হবে এবং মহাপবিত্র নদী গঙ্গার তীর থেকে কপিল মুনির অভিশাপ মুক্ত করতে হবে। রাজা সাগরের পুত্রদের আত্মার মুক্তি প্রাপ্তির জন্য গঙ্গার জলধারার মাধ্যমে বিশেষ স্নান ও পূজা আয়োজন করা হয়।
গঙ্গা নদী ও সাগরের পূজা
রাজা সাগরের শ্রদ্ধা ও নিষ্ঠার সাথে গঙ্গা নদীতে পুত্রদের শুদ্ধি করানোর জন্য পুণ্যকর্মে ব্যস্ত হন। এর ফলে, কপিল মুনির অভিশাপ থেকে তাদের মুক্তি মিলেছিল এবং তারা স্বর্গে পৌঁছায়। তবে এই পুরো ঘটনাটি আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শিখায় যে কোনো পাপ বা অপকর্মের পরিপ্রেক্ষিতে শুদ্ধি ও মুক্তির পথ শুধুমাত্র আত্মবিশ্বাস, সঠিক আচরণ, এবং সাধনা দ্বারা অর্জন করা যেতে পারে।
