সোশ্যাল মিডিয়ার পরিচিত মুখ শ্রীনন্দা শঙ্কর। আনন্দ শঙ্কর ও তনুশ্রী শঙ্করের কন্যা দীর্ঘদিন মুম্বই নিবাসী। হাতে গোনা বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন, পেশাদারভাবে নাচ করেন না তিনি। কিন্তু নিয়মিত ভ্লগিং করেন শ্রীনন্দা। সাম্প্রতিক ভ্লগে শঙ্কর পরিবারকে নিয়ে বোমা ফাটালেন সেই পরিবারেরই মেয়ে! আরও পড়ুন-হুডিতে ঢাকা শাহরুখের মুখ! কোলে আগলে রয়েছেন ‘চিনির গোলা’, খান পরিবারের নতুন সদস্যকে দেখুন
চুমু বিতর্কে চাচাছোঁলা মন্তব্য করে রাতারাতি বিতর্কের ঝড় বইয়ে দিয়েছেন মমতা শঙ্কর। এবার তাঁর ভাইঝির দাবি, শঙ্কর পরিবারের অনেকে আছেন, যাঁরা বেঁচে থাকলে ‘মি টু-তে মরে যেত’। অর্থাৎ পরিবারের সদস্যদের যৌন হেনস্থাকারী হিসাবে অভিযোগ আনলেন শ্রীনন্দা। কেন তিনি ভ্লগিং করেন, কেন পরিবারের ঐতিহ্য ধরে রাখছেন না? কেন নাচের প্রতি জীবন উৎসর্গ করেননি, সেই নিয়ে নানান কটূক্তি শুনতে হয় শ্রীনন্দাকে।
ট্রোলারদের এবার কড়া জবাব দিলেন তনুশ্রী শঙ্কর কন্যা। শুধু তাই নয়, উদয় শঙ্করের নাতনি দেখালেন আলোর নীচে লুকিয়ে থাকা শঙ্কর পরিবারের অন্ধকারময় দিকটাও। ১৯ বছর বয়সে কলকাতা ছেড়েছিলেন শ্রীনন্দা। আনন্দ শঙ্করের মৃত্যুর পরপরই কলকাতা ছেড়ে মুম্বই চলে যান শ্রীনন্দা।
ফেসবুক ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘কিছু বাঙালি হল পেস্ট। পেস্ট কিরকম, ওরা যা ইচ্ছে লেখে, আমার মা আছে, তাও সেই ভিডিয়োর কমেন্ট বক্সে যা ভাষা! সেই ভাষা লিখতে লিখতে আমাকে আমার লেগাসি বোঝাচ্ছে। বলছে, ব়্যানডম ভ্লগার হচ্ছেন কেন? আমার সঙ্গে শঙ্কর বা়ড়ি, শঙ্কর বাড়ি করবেন না। ’
এরপর শ্রীনন্দা বলেন, ‘আপনারা শঙ্কর বাড়ির আর্টটা দেখছেন। আমি কিন্তু নিন্দে করার জন্য বলছি না, আমি আমার পরিবারের অ্যাচিভার্সদের নিয়ে খুব গর্বিত। তবে আমি একজন স্বাধীন ব্যক্তি।….. আমি ভ্লগ করি আমিত্বটাকে সবার সামনে তুলে ধরতে, সে আমাকে পছন্দ করুন আর নাই করুন। আমি যা অর্জন করেছি, ছবিও করেছি, নাচও করি সেটা বাছাই করে করি। আমি যাই করি আমাকে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে আমার অথেনটিসিটি, আমার পদবি নয়’।
শ্রীনন্দার কথায়, 'এই শঙ্কর শঙ্কর, এই তারকা পুজো করবেন না। আপনারা আমাকে সেলেব্রিটি বলেন, আমি বলি না। মনে রাখবেন এই শঙ্কর পরিবারের প্রত্যেকে সমান নয়, ঠিক যেমন হাতের পাঁচটা আঙুল এক হয় না। শঙ্কর বাড়ির অনেক লোক আছেন যারা আজ বেঁচে থাকলে 'মি টু'তে মরে যেত। আর আমি এমন একজন মানুষ, এরকম কিছু হলে আমি কিন্তু এই শঙ্কর পরিবারের পাশে নয়, বরং সেই মহিলার পাশে দাঁড়াতাম। আমি এইরকমই। তাই আমাকে পরিবার নিয়ে বেশি কথা বলতে আসবেন না।'
শ্রীনন্দার কথায়, শঙ্কর পরিবারের পুত্রবধূরা নাচকে নিজেদের জীবন সমপর্ণ করেছেন। কিন্তু মেয়েরা সেটা করেনি। শঙ্কর পরিবারের মেয়েরা যা পারেনি, সেটা বউমারা করেছে। শঙ্কর পরিবারের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি কী করছেন, তা জাহির করতে চান না শ্রীনন্দা। ট্রোলরাদেরও এই নিয়ে ভবিষ্যতে আর কোনও জবাব দিতে ইচ্ছুক নন তিনি।