আজ ১৯ ডিসেম্বর, এই দিনে জীবনের আরও একটা বসন্ত পার করে ফেললেন অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। উইকি বলছে, তাঁর বয়স ৫৪। টলিউড-বলিউড থেকে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সর্বত্রই জমিয়ে কাজ করছেন শাশ্বত। এমনকি কাজ করছেন বিদেশি ছবিতেও। এমনকি ব্যক্তিগত জীবনেও স্ত্রী-কন্য়া নিয়ে সুখী জীবন তাঁর। তিনি অভিনেতা হলেও শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী কিন্তু তারকা নন, পেশায় একজন শিক্ষিকা। বৃহস্পতিবার শাশ্বতর জন্মদিনে অভিনেতার সঙ্গে প্রথম আলাপ থেকে স্বামীকে হারানোর ভয়, নানান বিষয়ে কথা বলেছেন মহুয়া দত্ত।
কীভাবে আলাপ, সেবিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আনন্দবাজারে লেখা খোলা চিঠিতে মহুয়া দত্ত লেখেন, 'তখন ওর বিয়ের ইচ্ছে জেগেছে।' মহুয়া দত্তেরই (অভিনেতার স্ত্রী) এক দিদির বাড়িতে চায়ের জন্য নিমন্ত্রণ ছিল তাঁদের। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ও সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন। এরপরই মহুয়া দত্ত লেখেন, 'প্রথম সাক্ষাৎ-এই রঙ্গ-ব্যঙ্গে আমাকে নাস্তানাবুদ করে তোলে। কারণ, আমি স্বাস্থ্যবতী। খুব বিরক্ত হয়েছিলাম।' এরপর অভিনেতাই দিদির থেকে তাঁর ফোন নম্বর চেয়ে নিয়েছিলেন বলে লিখেছেন মহুয়া। তবে তখনও মোবাইল আসেনি, তাই ল্যান্ডফোনই ছিল ভরসা।
আরও পড়ুন-কাপুর বাড়ির ওই ছেলে তো 'ছ্যাঁচড়া, লম্পট, ও হবে রাম!' রণবীরকে নিয়ে বেফাঁস মুকেশ খান্না
এরপর একদিন অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বি-এড কলেজের শিক্ষিকা মহুয়া দত্তের বিয়ে হয়ে যায়। ফোনে বিয়ের প্রস্তাব অবশ্য প্রথম দিয়েছিলেন তাঁর অভিনেতা শ্বশুরমশাই শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়। তবে স্বামী অভিনেতা, তিনি নেহাতই ছোপাষা একজন মানুষ। তাই স্বামীকে নিয়ে কি কখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেননি? এবিষয়েও খোলামেলা কথা বলেছেন মহুয়া। তাঁর কথায়, একসঙ্গে না থাকলে কখনওই মানুষ চেনা যায় না। তারপর অভিনেতা হওয়ার কারণে শাশ্বতর চারপাশে তখন বহু সুন্দরীর আনাগোনা। তাঁর অকপট স্বীকারোক্তি, 'সেই সময় আমাকে বেগ দিতে অনেকে ইচ্ছে করে অপুর গা ঘেঁষত। দেখে অস্বস্তিতে যে হত না তা নয়।' তবে এবিষয়ে তাঁকে আশ্বস্ত করতেন শ্বশুরমশাই শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়। তিনিই বউমাকে আশ্বস্ত করে বলতেন, এসবই অভিনয়, কোনওটাই বাস্তব নয়। ধীরে ধীরে অবশ্য একসঙ্গে সংসার করতে গিয়ে সবটাই বুঝে গিয়েছিলেন মহুয়া দত্ত।
স্বামীর স্বভাব প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তাঁর শিক্ষিকা স্ত্রী মহুয়া দত্ত লেখেন, অভিনেতার কথায় কোনও আগল নেই, যখন তখন রসিকতা করে বসেন।তথাকথিত রোম্যান্টিক মানুষ তিনি নন। তবে মাঝ মধ্যেই মজা করে ফেললেও আদপে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ভীষণই অন্তর্মুখী স্বভাবের মানুষ বলেই জানাচ্ছেন মহুয়া দত্ত।