শনিবার, ১ জুন চলে শেষ দফার ভোট। শনিবার কলকাতাতেও হল ভোট। নিজ নিজ সুবিধার্তে এদিন ভোট দিতে পৌঁছে যান টলি তারকারাও। এদিন মা তাপসী চক্রবর্তীকে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছিলেন মিমি। গতবারের সাংসদ, মিমি এবার আর পাঁচজনের মতোই সাধারণ ভোটার।
কসবা সারদা একাডেমিতে ছিল মিমির ভোটকেন্দ্র। সেখানেই ভোট দিতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। বুথে ঢুকতে গিয়েই মিমি দেখতে পান এক বয়স্ক ব্যক্তিকে। যিনি বার্ধক্যের ভারে নুইয়ে পড়ে ঠিকমতো হাঁটতেও পারছিলেন না। তাঁকে দেখতে পেয়েই তৎপর হন মিমি। পুলিশ সার্জনকে উদ্দেশ্য করে ডাকেন, ‘স্যার একটু আসুন…’। তিনি না শুনতে পেলে অন্যএকজনকে মিমি বলেন, ‘সার্জনকে একটু ডাকুন।’ সেই ব্যক্তি মিমির কথা মতো পুলিশ সার্জনকে ডাকেন। সার্জন এলে, মিমি বলেন, ‘একটা বয়স্ক লোক আছেন, যদি ওনাকে একটু আগে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।’ মিমির কথা মতো ওই পুলিশ সার্জনও ওই বয়স্ক ব্যক্তিকে আগে ভোট দেওয়ার জন্য ছেড়ে দিতে বলেন। এরপর মিমিই এগিয়ে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে আগলে ধরে পোলিং বুথের ভিতর পৌঁছে দেন।
মিমি এই মানবিক পদক্ষেপ নেট দুনিয়ায় উঠে এসেছে। তাঁর এমন তৎপরতায় মুগ্ধ নেটনাগরিকরাও। এদিন সাদা প্রিন্টেড সুতির সালোয়ার কামিজ পরেই ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন মিমি। কেউ লিখেছেন, ‘এটাই তো করা উচিত, তার জন্য কোনও রাজনৈতির দলের মুখ হতে হয় না।’ কারোর কথায়, ‘মিমি বরাবরই মানবিক’। আরও অনেকেই মিমির এমন কাজের প্রশংসা করেছেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মিমি চক্রবর্তী। তবে রাজনীতি থেকে সরলেও তিনি নিজের সামাজিক কর্তব্য ভোলেননি দেখে খুশি মিমির অনুরাগীরা।