বাংলায় প্রথমবার এল ইন্ডিয়ান আইডলের ট্রফি। আর ১৫ নম্বর সিজনে এসে, সেই অসাধ্য সাধন করে দেখালেন মানসী ঘোষ। নিমতা বেলঘরিয়ার মেয়ের কীর্তিতে গর্বে বুক ফুলেছে বাঙালির। আর এত বড় একটা জয়ের পর, একটা গ্র্যান্ড ওয়েলকাম হবে না, তা কখনো হয়!
ফেসবুকে স্বরলীপি মিউজিক্যাল ইভেন্টসের কর্ণধার সত্যজিৎ চক্রবর্তীর শেয়ার করা একটি ভিডিয়োতে দেখা গেল, মেয়েকে ঘরে ফেরাতে এয়ারপোর্টের বাইরে ছিল বিশাল ভিড়। ফুলের মালা, ফুলের টায়রা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন মানসীর মা-বাবা-পরিজনরা। এয়ারপোর্টের বাইরে পা রাখতেই, সকলে মিলে আদরে ভরিয়ে দেন মানসীকে। তাঁর মাথায় টায়রা, গলায় পরিয়ে দেন ফুলের মালা।
আরও পড়ুন: ‘কয়েকজনের ফুর্তির পরিণতি…’! ঠাকুরপুকুর ঘটনার নিন্দা ঋদ্ধির! পোস্ট রূপাঞ্জনারও
মানসীকে বলতে শোনা যায়, ‘সবসময়ই ইন্ডিয়ান আইডলে বাঙালি প্রতিযোগী সবচেয়ে বেশি ছিলেন। বাঙালি শিল্পী সবচেয়ে বেশি ছিলেন। কিন্তু কোনোবার বাংলায় ট্রফি আসেনি। এই প্রথমবার বাংলায় ট্রফি আনছি, আমার নিজের মানুষদের জন্য আনতে পেরেছি, এটার জন্য আমি অভিভূত।’
মানসীকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘এই ট্রফিটা আমি সমস্ত বাঙালিকে ডেডিকেট করতে চাইব। প্রতিটা বাঙালিকে।’
আরও পড়ুন: মিঠিঝোরা ধারাবাহিকে নতুন ‘হিরো’ মৈনাক! রাই-নীলু নাকি স্রোত, কার বিপরীতে আসছেন
আরেকটি ভিডিয়োতে দেখা যায় যে, রীতিমতো হুড খোলা গাড়িতে এলাকায় ফেরেন মানসী। গাড়িটি সাজানো হয়েছিল বেলুন আর ফুল দিয়ে। মানসী এলাকার মানুষদের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়েন, ছুঁড়ে দেন চুমু, ট্রফি দেখিয়ে পোজ দেন ফোটোর জন্য। বারংবার হাত দিয়ে ভিকট্রি সাইন দেখাচ্ছিলেনও।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালের অগস্ট মাস থেকে আলাদা সুদীপ-পৃথা! ফাঁস কোর্ট অর্ডার, সবটাই ‘নাটক’ ছিল?
দেখুন সেই ভিডিয়োটিও-
ইন্ডিয়ান আইডলের ১৫ নম্বর সিজনে এবার ছিলেন ৭ বাঙালি। তারপর সেরা দশে পৌঁছন ৫ জন। তারপর সেরা ৬-এ ৩ জন- মানসী, শুভজিৎ ও প্রিয়াংশু। সব শেষে জয় হয় বাংলার মেয়ে মানসী ঘোষের, এবং দ্বিতীয় স্থানে আসেন খড়গপুরের শুভজিৎ। প্রিয়াংশু হয়েছেন চতুর্থ।
মাত্র চার বছর বয়স থেকে গান শেখা শুরু। প্রথম তালিম দিতেন মা-ই। এর আগে সুপার সিঙ্গারে অংশ নিয়েছিলেন মানসী। আর সেখানে একটুর জন্য ফসকায় ট্রফি। তিনি এসেছিলেন দ্বিতীয় স্থানে।