বাস্তবে দুর্গাপুজো শেষ হয়ে কালীপুজো প্রায় এসে গেলেও কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকে এখনও ফুরায়নি বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। সেখানে চলছে দশমীর বরণ। আর এখানেই আবারও ছক ভাঙা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করল এই সিরিয়াল। সাধারণত কোনও শুভ কাজে বিধবাদের থাকার বিধান নেই, মনে করা হয় এতে নাকি অমঙ্গল হয়। কিন্তু মানুষের ভালো লাগা, আনন্দের কাছে এসব কুসংস্কার যে নস্যি, উড়িয়ে দেওয়া যায় সেটা আবারও প্রমাণ করল এই ধারাবাহিক।
এদিনের পর্বে দেখা যায় শিমুল তার শাশুড়িকে বরণ করার কথা বলছে। কিন্তু তাতে তিনি রাজি হন না লোকে কী বলবে ভেবে। তখন শিমুল বলে তুমি চাইলে করো, কেউ যখন তোমার দুঃখ ভাগ করে নেয় না তখন লোকে তোমার আনন্দ দেখে কী বলবে সেটা নিয়ে ভাবছ কেন?
আরও পড়ুন: ‘টাইগার ৩-এ আপনি আছেন নাকি?’ ভক্তের প্রশ্নের কী জবাব দিলেন হৃতিক
আরও পড়ুন: 'তুমি স্ট্রেট তো?' রণবীরকে বাউন্সার যুবরাজের, প্রাক্তন ক্রিকেটারের প্রশ্ন শুনে কী বলছে নেটপাড়া?
শিমুলের কথায় রাজি হয় তাঁর শাশুড়ি। মধুবালাকে দেখে সাহস পায় বিপাশার শাশুড়িও। তাঁরা দুজন বিধবা হলেও দেবী বরণ করবেন বলে জানান। কিন্তু মা বিধবা হয়েও দেবী বরণ করতে চাইলেই তার বিরোধিতা করে বসে পরাগ, পলাশ। কিন্তু শাশুড়ির সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ায় শিমুল। বলে তার শাশুড়ি মা বরণ করবেই। কে আটকায় সে দেখে নেবে। বরকে আটকানোর জন্য সে দুর্গার হাত থেকে ত্রিশূল খুলে আনে। ধরে রুদ্ররূপ। তখন বৌমাকে সমর্থন করে মধুবালা বলেন যে তিনি চান তিনি বরণ করবেন, ব্যাস। আর কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না। পাড়ার লোকজনও জানায় এতে তাদের আপত্তি নেই। পাড়ার মানুষের খুশি অনেক দামি কুসংস্কারের আগে।
পাড়ার লোকের সমর্থন পেয়ে বরের উদ্দেশ্যে শিমুল বলে একজন শিক্ষক হয়ে সে কী করে এমন হল বুঝে উঠতে পারছে না। তারপর দেখা যায় সে আর তার শাশুড়ি মিলে দেবীমূর্তিকে বরণ করছে। কিন্তু এদিন বিসর্জন দিয়ে আসার পর শিমুলের সঙ্গে তার বর আর দেওর কী করেন সেটাই দেখার।