কালীঘাটের চুমু-কাণ্ডে গোটা কলকাতা উত্তাল। কেউ পক্ষে তো কেউ বিপক্ষে। সমালোচনা-প্রশংসার ভিড় চারদিকে। চলুন একার দেখে নেওয়া যাক, এই চুমু নিয়ে টলিউড তারকারা কী বলছেন?
শনিবার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল, যেখানে দেখা যায় কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে পিলারের পাশে দাঁড়িয়ে পরস্পরের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়েছে এক পুরুষ ও মহিলা। ব্যস্ত শহরে যেন তাঁরা ডুবে গিয়েছেন একে-অন্যতে। কলকাতায় এই ছবি সেভাবে দেখা না গেলেও, বাইরের দেশে কিন্তু হামেশাই চোখে পড়ে প্রেমের এহেন বহিঃপ্রকাশ। এমনকী, আইফেল টাওয়ারের সামনে এভাবে ঠোঁটে ঠোঁট ডোবানো তো অলিখিত নিয়ম একপ্রকার। কিন্তু এখন প্রশ্ন, কেন কলকাতায় এখন মানুষ ভ্রু কুঁচকে দেখছে।
বছর কয়েক আগে কলকাতা মেট্রোর তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, যাতে লেখা ছিল, স্টেশনে আলিঙ্গন করা যাবে না। চুমু খাওয়া যাবে না। হ্যান্ডশেক করা থেকেও বিরত থাকতে হবে। অবশ্য সেটা ছিল করোনার সময়। এখন তো তেমন কোনো নিয়মও নেই, তাহলে কেন হচ্ছে সমালোচনা, তেমনই প্রশ্ন তুলেছে সমাজের বড় একটা অংশ।
পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত লিখলেন, ‘চুমু পায়/ ঠিক যেমন বৃষ্টি পড়লে খিচুড়ি পায়/ স্নানের সময় গান পায়/ আদরের পরে সিগারেট পায়/পড়তে বসলে ঘুম পায়/ তেমনই/ তাই চুমু পেলে চুমু খাবো/ যখন যেখানে ইচ্ছে/ কার বাপের কী?’
বিরসার এই পোস্টে একজন মন্তব্য করলেন, ‘আমাদের এখানে আসলে ধর্ষণটা বাস্তব। প্রকাশ্য রাস্তায় ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানি হলেও কেউ ফিরে তাকায় না। কিন্তু দুজন প্রেমে পড়ে চুমু খেলেই মুশকিল’। আরেকজন লিখলেন, ‘এ দেশে ঘুষ খেলে কথা হয় না। চুমুতে হয়। হায় রে চুমু!’ তেমনই কেউ লিখেছেন, ‘তেমনই হিসু পেলেই হিসু করব, তাই তো?’ আরেকজন লিখলেন, ‘শালীনতা বোধের অভাব সব জায়গায় না সবকিছু করা যায় না।’
এখানে বলে রাখা ভালো, বছরখানেক আগে স্ত্রী বিদিপ্তা চক্রবর্তীর সঙ্গে চুমু খাওয়ার ছবি শেয়ার করে এরকমই সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ব্যোমকেশ পরিচালক। দেখা গিয়েছিল কুয়াশায় ঢাকা কোনো পাহাড়ে যেন একে-অপরের মাঝে হারিয়ে গিয়েছেন দুজনে। সেই সময়ও এরকমই তেড়ে এসেছিল নেটিজেনদের একটা অংশ।
এদিকে কালীঘাট নিয়ে শ্রীলেখা মিত্র লিখেছেন, ‘বেশ করেছে চুমু খেয়েছে, ঘুষ খায়নি তো আপনাদের মতো! Get a life Man’। আবার টলিউডের প্রযোজক রাণা সরকার লিখলেন, ‘পাগলি, তোমার সঙ্গে মেট্রোতে চুমু জীবন কাটাবো, পাগলি, তোমার সঙ্গে চুমুর ভিডিও কাটাবো জীবন।’