রণবীর কাপুরের স্বপ্নপূরণ। গত কয়েক বছরে বারবার স্ক্যানারে এসেছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কতই না নিন্দে, গালমন্দ। ‘বিষাক্ত বর’-এর লেভেল গায়ে সাঁটিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা চলেছে। যদিও এসব নিয়ে বরাবরই কুল থাকেন। পাত্তা দেন না ট্রোলে। এমনকী, এই ডিজিট্যাল ইন্ডিয়ার যুগে সোশ্যাল মিডিয়াতেও কোনও অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট নেই তাঁর।
তবে অভিনয় দিয়ে যে তিনি বর্তমান সময়ের যে কোনও অভিনেতাকে টেক্কা দিয়ে যেতে পারেন, তা প্রমাণ হয়েছে আগেও। সঞ্জু, ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি, ব্রহ্মাস্ত্র-র মতো ছবিতে রণবীরের করা চরিত্রগুলি গেঁথে গিয়েছে মানুষের মনে। আর এবার তেমনটা হল অ্যানিম্যালের ক্ষেত্রে। রণবিজয় হিসেবে যতই গালমন্দ পান না রণবীর কাপুর, তাঁকে নিয়ে দর্শকদের মাতামাতি বুঝিয়ে দিচ্ছে ছবি পয়সা উসুল।
sacnilk.com-এর রিপোর্ট অনুসারে ১৬ নম্বর দিনে, তৃতীয় শনিবারে এসে অ্যানিম্যাল ব্যবসা করল ১৩ কোটির।
অ্যানিম্যালের বক্স অফিস রিপোর্ট:
১ ডিসেম্বর মুক্তি পায় রণবীর কাপুরের অ্যানিম্যাল। ওই একই দিনে বক্স অফিসে এসেছিল ভিকি কৌশল অভিনীত ও মেঘনা গুলজার পরিচালিত স্যাম বাহাদুর। তবে এই ছবিকে পায়ের মাটি শক্ত করারই সুযোগ দেয়নি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার অ্যাকশন ড্রামা। প্রথম সপ্তাহে অর্থাৎ মাত্র ৭ দিনে ঘরে তুলেছিল ৩৩৮ কোটি।
আপাতত ১৬ দিনের আয় মিলিয়ে রণবীরের ছবি এসে দাঁড়িয়েছে ৪৯৮.১৪ কোটিতে। অর্থাৎ, রবিবার ছবির ১৭ নম্বর দিনেই পা রেখে ফেলবে কাঙ্খিত ৫০০ কোটিতে।
আপাতত বলিউড সিনেমা হিসেবে ভারতের বাজারে দ্রুত ৫০০ কোটি গড়ার রেকর্ড রয়েছে জওয়ানের কাছে। শাহরুখের এই সিনেমার সময় লেগেছিল ১৩ দিন। অন্য দিকে, গদর ২-এর এই কাজ করতে সময় লেগে গিয়েছিল ২৪ দিন। পাঠান নিয়েছিল ২৮ দিন সময়। আর বাহুবলীর হিন্দি ভার্সানের সময় লাগে ৩০ দিনেরও বেশি।
আপাতত আশা রাখা যাচ্ছে, সামনের সপ্তাহটাও চুটিয়ে ব্যবসা করবে অ্যানিম্যাল। একছত্র আধিপত্য বজায় রাখবে বক্স অফিসে ২২ ডিসেম্বর অবধি। আর তারপর যদিও সিনেমা হলের রাজা হয়ে বসবেন শাহরুখ খান ফের একবার। ২০২৩ সালের তৃতীয় সিনেমা আনছেন কিং খান, আর সেটাও যে ব্লকবাস্টার হবে তা নিয়ে নিশ্চিত শাহরুখ-ভক্তরা।
রাজকুমার হিরানির পরিচালনায় ২২ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে ডাঙ্কি। ওই একই দিনে আসবে প্রভাসের বহু প্রতিক্ষীত সালার-ও। অর্থাৎ, এই দুই সিনেমা মুক্তি পেলে হলে জায়গা পাওয়া বেশ কষ্টকর হবে অ্যানিম্যালের জন্য।