বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী। ছোট্ট একটা ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। গত কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ। মাঝে অসুস্থতা কিছুটা বেড়েছিল। একটি সময় ছিল যখন ভোটের দিনে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে ভোট দিতেন। ভোট দেওয়ার পরে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়ত তাঁর ছবি। কিন্তু এবার কী হবে?
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে সম্ভবত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবার ভোট দিতে যেতে পারবেন না। তবে কাল কী হবে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বাংলা তথা জাতীয় রাজনীতি সম্পর্কে আজও খোঁজখবর নেন। নিয়মিত খবরের কাগজ পড়ে শোনাতে হয় তাঁকে। এমনকী নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি কিছুটা উদ্বেগের মধ্য়ে থাকেন বলে কিছুদিন আগেই তাঁর পরিবারের তরফে বলা হয়েছিল।
কিছুদিন আগেও তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। পরে তিনি কিছুটা সুস্থ হন। বর্তমানে সেই ফ্ল্যাটের ঘরেই থাকেন তিনি।
এদিকে ২০২৪ সালের ১ মার্চ তিনি ৮০ বছর পেরিয়ে ৮১ বছরে পা দিয়েছিলেন বলে খবর। তাঁর জন্মদিনের দিন প্রতিবারই তাঁর অনুগামীরা পাম অ্যাভিনিউয়ের সেই আবাসনের সামনে যান। তবে অসুস্থতার জন্য় দেখা করতে পারেন না বুদ্ধদেব। তবে স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যের মাধ্যমে তাঁর কাছে যায় সেই বার্তা।
সম্প্রতি প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর বাড়িতে গিয়েছিলেন কলকাতা দক্ষিণের বাম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। মনোনয়ন জমা দিয়েই তিনি হাজির হয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে। প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে গিয়ে তিনি আশীর্বাদ চেয়েছিলেন। পাম অ্যাভিনিউয়ের দুকামরার ফ্ল্যাট । সেখানেই থাকেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। অসুস্থ। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। তিনি আর সভা সমিতিতে যান না। সম্প্রতি এআইয়ের মাধ্য়মে সেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বার্তা হাজির করেছিল সিপিএম।
সেদিনই এবিপি আনন্দের ক্যামেরার সামনে মুখ খুলেছিলেন মীরা ভট্টাচার্য।
এবার কি সম্ভব হবে ভোট দেওয়ার? বুদ্ধদেববাবু কি এবার ভোট দিতে যেতে পারবেন?
সাংবাদিকের এই প্রশ্নের উত্তরে বুদ্ধদেব জায়া জানিয়েছিলেন, না এটা একেবারেই সম্ভব হবে না। আমার সন্তানের …তিনজনের জায়গায় যখন আমরা দুজন ভোট দিতে যাই সেটা খুব আংশিক থাকে ব্যাপারটা…
ওনার একটা আক্ষেপ থাকেই। ভোট তো দিতে পারব না। এটা নিয়ে ওনার সন্তানের সঙ্গেই কথা হয়।
সেক্ষেত্রে এবার সম্ভবত ভোট দেবেন না বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে শেষবার বালিগঞ্জ পাঠভবনে তাঁকে ভোট দিতে যেতে দেখা গিয়েছিল। ২০১৯ সালে শারীরিক অসুস্থতার জন্য় তিনি ভোট দিতে যেতে পারেননি।