প্রথম ইনিংসে অল্পের জন্য ব্যক্তিগত শতরান হাতছাড়া করেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। সেই হতাশা ভুলে উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন মধ্যপ্রদেশের হয়ে মাঠে নামা কেকেআর তারকা।
মধ্যপ্রদেশের ৩২৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে উত্তরাখণ্ড দ্বিতীয় দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৭০ রান তোলে। তৃতীয় দিনে তার পর থেকে পুনরায় খেলা শুরু করে উত্তরাখণ্ড তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করে ১৯২ রানে। অর্থাৎ মাত্র ২২ রান যোগ করে তৃতীয় দিনে উত্তরাখণ্ড তাদের শেষ চারটি উইকেট হারিয়ে বসে।
দীক্ষাংশু নেগি দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৫৩ রান করেন। এছাড়া আদিত্য তারে ৪৫ ও অবনীশ সুধা ৩৩ রানের যোগদান রাখেন। ক্যাপ্টেন জীবনজ্যোৎ সিং মাত্র ১ রান করে আউট হন। মধ্যপ্রদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৫৯ রানে ৪টি উইকেট নেন কুমার কার্তিকেয়া। ২টি করে উইকেট দখল করেন কুলবন্ত খেজরোলিয়া ও সরাংশ জৈনি।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১৩১ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে মধ্যপ্রদেশ। তারা ৬৮ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২৪৩ রান তুলে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয়। ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪৯ বলে ৫৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন বেঙ্কটেশ আইয়ার।
উল্লেখ্য, প্রথম ইনিংসে ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে মাত্র ৫৪ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বেঙ্কটেশ। তিনি ১৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১০ বলে ৮৯ রান করে মাঠ ছাড়েন। মাত্র ১১ রানের জন্য ব্যক্তিগত শতরান হাতছাড়া হয় তাঁর। অর্থাৎ, দুই ইনিংস মিলিয়ে ম্যাচ থেকে বেঙ্কটেশ সংগ্রহ করেন সাকুল্যে ১৪২ রান।
আরও পড়ুন:- ব্যাটে-বলে দুরন্ত মুশির, ক্যাপ্টেন উদয়ের শতরানে ফের দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল ভারতের যুব দল
এছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে মধ্যপ্রদেশের হয়ে ১৫৯ বলে ৫৯ রান করেন যশ দুবে। তিনি ৫টি চার মারেন। ১৪০ বলে ৮৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন শুভম শর্মা। তিনি ১১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ৫৮ বলে ২৯ রান করেন হর্ষ গাওয়ালি। তিনি ২টি চার মারেন। রজত পতিদার ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪ বলে ৮ রান করে নট-আউট থাকেন। উত্তরাখণ্ডের স্বপ্নিল সিং ও অবনীশ সুধা ১টি করে উইকেট নেন।
সুতরাং, জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে উত্তরাখণ্ডের সামনে ৩৭৫ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ঝুলিয়ে দেয় মধ্যপ্রদেশ। এক দিনেরও বেশি সময় বাকি থাকতে এমপি-র দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করাকে সাহসী সিদ্ধান্ত বলতেই হয়। আপাতত উত্তরাখণ্ড শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে ৩.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৭ রান সংগ্রহ করেছে। শেষ দিনে জয়ের জন্য তাদের দরকার আরও ৩৬৮ রান।