বিদেশ থেকে ডাক্তারি পাশের পর একটি পরীক্ষা দিতে হয়। তবেই এ দেশে চিকিৎসা করার জন্য অনুমতি মেলে। তবে এই পরীক্ষা দেওয়ার কোনও সময়সীমা ছিল না এতদিন। এ বার সেই সময়সীমা বেঁধে দিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)। বিদেশে এমবিবিএস পাশ করার পর ১০ বছরের মধ্যে ওই পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে ওই সময়ের মধ্যে। না হলে ভারতে চিকিৎসার অনুমতি মিলবে না।
(আরও পড়ুন: দিঘায় এবার সত্যজিৎ রায় পার্ক! গুপী-বাঘার ম্যাজিক দেখা যাবে কবে? জানাল পর্ষদ)
এনএমসি সূত্রের খবর, বিদেশে এমবিবিএস পাশ পড়ুয়া দেশে ফিরে চিকিৎসা করতে হলে পরীক্ষা দিতে হয়। ফরেন মেডিক্যাল গ্র্যাজুয়েট পরীক্ষায় (এফএমজিই) বসতে হয় তাঁদের। কিন্তু স্নাতক হওয়ার কত দিনের মধ্যে সেই পরীক্ষায় পাশ করতে হবে তা এতদিন অনিশ্চিত ছিল। কবে থেকে পরীক্ষায় বসা যাবে তারও ঠিক ছিল না। সেটাই এ বার ১০ বছরের সময়সীমায় বেঁধে দিল এনএমসি।
এনএমসি-এর কথায়, ডাক্তারিতে স্নাতকোত্তর স্তরে সুযোগ পেতে নিট-পিজি পরীক্ষায় বসতে হয়। তার বদলে এ বার থেকে ন্যাশনাল এক্সিট টেস্ট বা এনইএক্সটি পরীক্ষা চালু করা হবে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনএমসি। বিদেশ থেকে ফিরে এ দেশে চিকিৎসার ছাড়পত্র পেতে এফএমজিই পরীক্ষা দেয় পড়ুয়ারা। এর বদল এনইএক্সটি দিতে হবে। কিন্তু ওই পরীক্ষা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
(আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ৯৯টি পানশালা ভ্রমণ! গিনিস বুকে নাম উঠল এই দুই বন্ধুর)
এনএমসি-এর সাম্প্রতিক নির্দেশিকায় পরীক্ষার পরে ইন্টার্নশিপের কথাও বলেছে। ইন্টার্নশিপ সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই চিকিৎসার অনুমোদন মিলবে। বছরে দু’বার ওই পরীক্ষা হয়। এই ব্যাপারে বিভিন্ন রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিলের মতামত নেওয়া হয়েছে। ইউক্রেন, ফিলিপিন্সের মতো দেশ থেকে পাশ করা পড়ুয়াদের নানা সমস্যা খতিয়ে দেখে নির্দিষ্ট সময়সীমা ধার্য করল এনএমসি।
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্য-চিকিৎসক কৌশিক বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এনএমসি একটি করে নিয়ম করে আর দেড়-দু’মাস অন্তর সেটি বদল করে। তাই এটিও কত দিন থাকবে, বলা মুশকিল। তবে পরীক্ষার সময়সীমা আরও কম করা উচিত ছিল বলেই মত তাঁর। কারণ, বিভিন্ন রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিলে তিন-চার বছর অন্তর শংসাপত্র আপডেট করতে হয়।