TMC: ‌তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কদের হুইপ জারি করল দল, আসতে হবে কলকাতায়

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলা থেকে জেলায় থাকা বিধায়কদের ফোন করা হল। এমনকী হুইপ জারি করে ১৭ তারিখের মধ্যে কলকাতায় আসার কথা জানানো হয়েছে তাঁদের। সমস্ত বিধায়কদের কলকাতায় থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কারণ একটাই—রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। বিরোধীদের সম্মিলিত প্রার্থী যশবন্ত সিনহা। সেখানে ক্রস ভোটিংয়ের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে বিজেপি। তাই সেটা ঠেকিয়ে বিজেপিকে কড়া বার্তা দিতেই এই উদ্যোগ।কেমন ব্যবস্থা করা হয়েছে? রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে গোপন ব্যালটে ভোট হয়। সেখানে পার্টি হুইপ কাজ করে না। কে, কাকে ভোট দিচ্ছে জানা যায় না। তাই আগাম ব্যবস্থা নিতে শুরু করে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। একুশে জুলাইয়ের জন্য সেন্ট্রাল পার্ক থেকে কসবা রাজডাঙার গীতাঞ্জলী স্টেডিয়ামে প্যান্ডেল খাটিয়ে ফেলা হয়েছে। দূরের জেলা থেকে যাঁরা আসবেন তাঁদের থাকার ব্যবস্থা হবে এখানেই। ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তৃণমূল কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১৭ তারিখ দলের সমস্ত বিধায়ককে কলকাতায় চলে আসতে হবে। তাই ফোন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কেন এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট তাঁরা পাবেন। সুতরাং একটা ক্রস ভোটিং করার ছক রয়েছে। সূত্রের খবর, এই ক্রস ভোটিং করার বিষয়ে ঘরোয়া বৈঠকে সায় দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই ফিরহাদ হাকিম ফোন করছেন মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দিনাজপুরের বিধায়কদের। আর রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, অরূপ বিশ্বাস, পার্থ চট্টোপাধ্যায়রাও বাকি বিধায়কদের ফোন করেছেন।অতীতের অভিজ্ঞতা কী বলছে? ২০১২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ইউপিএ’র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী তখন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তাঁকে সমর্থন করা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। এই পরিস্থিতিতে তৎকালীন দুই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সোমেন মিত্র এবং শুভেন্দু অধিকারী গোপনে নয়াদিল্লি গিয়ে প্রণববাবুর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। আর প্রণবকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে যদি সমর্থন না করে তাহলে তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস থেকে অন্তত ৬০ জন বিধায়ককে ক্রস ভোট করাবেন। প্রণববাবু তাঁর আত্মজীবনীতে লিখে গিয়েছেন এই কথা।